আন্তর্জাতিক

গাজায় প্রতি তিনজনের একজন দিনের পর দিন না খেয়ে থাকছে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২৬শে জুলাই ২০২৫ ১১:১১:০১ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

গাজা উপত্যকার প্রায় প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দিনের পর দিন কোনো খাবার ছাড়াই থাকছেন বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP)। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় অপুষ্টির হার ভয়াবহভাবে বাড়ছে এবং ৯০,০০০ নারী ও শিশুর জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন।

গাজায় দুর্ভিক্ষের সতর্কতা এই সপ্তাহে আরও তীব্র হয়েছে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, শুক্রবার অপুষ্টিতে আরও নয়জনের মৃত্যু হয়েছে, যা যুদ্ধের শুরু থেকে এ ধরনের মোট মৃত্যুর সংখ্যাকে ১২২-এ নিয়ে গেছে।

 

অন্যদিকে, গাজায় সমস্ত সরবরাহ নিয়ন্ত্রণকারী ইসরায়েল দাবি করেছে যে ভূখণ্ডটিতে সাহায্য প্রবেশের ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই এবং যেকোনো অপুষ্টির জন্য তারা হামাসকে দায়ী করছে।

 

এই মানবিক সংকটের মধ্যে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। শুক্রবার (২৫শে জুলাই) জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে "অবিলম্বে সাহায্য প্রবাহের উপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার" আহ্বান জানিয়েছে। তারা গাজায় চলমান "মানবিক বিপর্যয়" এবং যুদ্ধের অবিলম্বে অবসানের দাবি জানিয়ে বলেছে, "বেসামরিক জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় মানবিক সহায়তা আটকে রাখা অগ্রহণযোগ্য।"

 

এদিকে, ইসরায়েলি এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার ইঙ্গিতের পর যুক্তরাজ্য আকাশ থেকে বিমানযোগে গাজায় ত্রাণ ফেলার (এয়ারড্রপ) কার্যক্রমে অংশ নেবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার। তবে, সাহায্য সংস্থাগুলো আগেই সতর্ক করেছে যে এটি ত্রাণ সরবরাহের একটি অকার্যকর উপায়। জাতিসংঘ এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলি সরকারের "নিষ্ক্রিয়তা ঢাকার কৌশল" বলে অভিহিত করেছে।

 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তায় হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, "আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকের মধ্যে যে উদাসীনতা ও নিষ্ক্রিয়তা আমরা দেখছি, তার মাত্রা আমি ব্যাখ্যা করতে পারব না।" তিনি আরও জানান, গত ২৭শে মে থেকে এ পর্যন্ত খাবার সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে ১,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

 

তথ্যসূত্র বিবিসি।

 

ডিবিসি/এমইউএ

আরও পড়ুন