গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে তেল আবিবের ‘হস্টেজ স্কয়ারে’ হাজার হাজার ইসরায়েলি বিক্ষোভ করেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই বিশাল বিক্ষোভে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্য সমবেত হন বিক্ষোভকারীরা।
প্রায় তিন সপ্তাহ পর এটিই ছিল প্রথম বড় ধরনের কোনো বিক্ষোভ। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার কারণে জনসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাপ্তাহিক এই বিক্ষোভ সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই সাধারণ মানুষ এবং জিম্মিদের পরিবারগুলো আবারও রাস্তায় নেমে আসে।
বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের পতাকা এবং জিম্মিদের ছবি হাতে নিয়ে পুরো চত্বরটি পূর্ণ করে ফেলেন। তাদের মূল দাবি ছিল, আর কোনো শর্ত বা বিলম্ব নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির মাধ্যমে এখনই সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। অনেকের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল "যুদ্ধ থামাও" এবং "তাদের এখনই বাড়ি ফিরিয়ে আনো"।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জিম্মি মাতান জানগাউকারের মা, এই আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ, ইনভ জানগাউকার আবেগঘন বক্তৃতায় বলেন, "তারা ধার করা সময়ে বেঁচে আছে, তাদের বাঁচানো সম্ভব।" তিনি সরকারের প্রতি একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য জোর দাবি জানান।
মুক্তি পাওয়া জিম্মি লিরি আলবাগ প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, "আপনারা ইরানের বিষয়ে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন গাজার যুদ্ধ শেষ করে সবাইকে ফিরিয়ে আনার সাহসী সিদ্ধান্ত নিন... কারণ এটাই একটি জাতি হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।"
বিক্ষোভকারীরা মনে করছেন, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর এখন একটি "ঐতিহাসিক সুযোগ" তৈরি হয়েছে, যা কাজে লাগিয়ে সরকারের উচিত গাজা যুদ্ধ শেষ করা এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছানো। এই বিক্ষোভ নেতানিয়াহু সরকারের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করল, যারা একদিকে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া এবং অন্যদিকে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার পরস্পরবিরোধী দাবির সম্মুখীন হচ্ছে।
তথ্যসূত্র সিএনএন।
ডিবিসি/এমইউএ