নিউ ইয়র্কের নায়ক এখন এক বাংলাদেশি। তিনি দিদারুল আলম, যিনি নিজের জীবন দিয়ে বাঁচিয়েছেন বহু প্রাণ এবং যার সাহসিকতার গল্পে মুখরিত এখন নিউইয়র্ক।
সোমবার অন্যান্য দিনের মত পার্ক অ্যাভিনিউয়ের একটি অফিস ভবনে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন দিদারুল ইসলাম। ঘাতক বন্দুকধারী ভবনে প্রবেশের মুখেই প্রথম গুলি করে তাকে। কিন্তু নিজের জীবন বিপন্ন জেনেও তিনি দায়িত্ব থেকে একচুল নড়েননি। তার এই আত্মত্যাগের কারণেই হয়তো আরও বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, ‘দিদারুল ইসলাম যা সবচেয়ে ভালো পারেন, তাই করছিলেন। মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছিলেন। তিনি নিউইয়র্কবাসীকে রক্ষা করেছেন ‘ মেয়র আরও বলেন, ‘দিদারুল চেতনায় ও কর্মে একজন সত্যিকারের নিউইয়র্কার ছিলেন।’ অ্যাডামস জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে দিদারুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন।
দিদারুলের এমন বীরত্বের কথা স্বীকার করলেন এনওয়াইপিডি পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশও। এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তিনি (দিদারুল) সেই দায়িত্বই পালন করছিলেন যা আমরা তাকে দিয়েছিলাম। তিনি নিজেকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছেন এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি নায়কের মতোই বেঁচেছেন এবং নায়কের মতোই মারা গেছেন।’
এনওয়াইপিডি তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছে, ‘অফিসার ইসলাম আমাদের ডিপার্টমেন্টের সেরা দৃষ্টান্তের প্রতিনিধিত্ব করতেন। আজ নিউইয়র্কবাসীকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে গিয়ে তার জীবন মর্মান্তিকভাবে শেষ হয়ে গেল।’
দিদারুল ইসলাম ছিলেন দুই সন্তানের জনক এবং তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানো এই তরুণ নিজের কর্মনিষ্ঠা ও সাহসিকতার জন্য পরিচিত ছিলেন। নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে (এনওয়াইপিডি) তিনি তিন বছরের বেশি সময় ধরে সেবা দিয়েছেন।
ডিবিসি/এফএইচআর