গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণ হওয়া ভবনটিতে উদ্ধার কাজ আপাতত স্থগিত করেছে ফায়ার সার্ভিস আ্যন্ড সিভিল ডিফেন্স। বুধবার (৮ই মার্চ) সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে ভবনটি স্টেবল করলে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক দিনমনি শর্মা।
দিলমনি শর্মা বলেন, আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছি বিস্ফোরণের ফলে ভবনটির বেজমেন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ও যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এ অবস্থায় ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান চালানো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো কারণে যদি ভবনটি ধসে পড়ে তাহলে উদ্ধারকারীরা ব্যাপকভাবে হতাহত পারেন।
তিনি বলেন, এসব বিবেচনায় রেখে আজ রাত এগারোটা থেকে ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকাল সেনাবাহিনীর লোকজন এসে ভবনটিকে সাময়িকভাবে স্টেবল করবে। ভবনটি স্টেবল হওয়ার পর আমরা আবার পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করব। আগামীকাল মূলত আমরা ভবনটির বেজমেন্টে অভিযান পরিচালনা করব।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে এখনো আমাদের লোকবল রয়েছে। আমাদের ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ভবনটির সামনে আজ সারারাত থাকবে। তারা প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন- মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), নুরুল ইসলাম ভূইয়া (৫৫), হৃদয় (২০), সম্রাট ও সিয়াম (১৮)।
এর আগে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে সিদ্দিক বাজার এলাকায় বিস্ফোরণে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা।
এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলার নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। এই পর্যন্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।