আন্তর্জাতিক

গোপনে আমেরিকার তৈরি পাঁচটি বোয়িং ৭৭৭ বিমান সংগ্রহ করল ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২৫শে জুলাই ২০২৫ ০৭:২৮:১৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পাশ কাটিয়ে আরও একবার পশ্চিমা প্রযুক্তির বিমান সংগ্রহে সফল হয়েছে ইরান। সম্প্রতি দেশটিতে আমেরিকার তৈরি পাঁচটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর মডেলের বিমান এসে পৌঁছেছে। বিমানগুলো গোপনীয়তা বজায় রেখে সংগ্রহ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী ঘটনাগুলোর মতোই এই বিমানগুলো সংগ্রহ করার প্রক্রিয়াটি ছিল বেশ জটিল। কয়েকটি ধাপে মালিকানা ও রেজিস্ট্রেশন পরিবর্তন করে গোপন ফ্লাইটের মাধ্যমে এগুলোকে ইরানে নিয়ে আসা হয়। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্যমতে, বিমানগুলোর মধ্যে একটি কম্বোডিয়া থেকে উড্ডয়ন করে আফগানিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। সেখানে ট্র্যাকিং এড়াতে বিমানটির ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং গোপনে ইরানে অবতরণ করে।

 

এই পাঁচটি বিমান ২০০১ সাল থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বহরে ছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত সেখানে যাত্রী পরিবহনের পর বিমানগুলো থাইল্যান্ডের সংস্থা নকস্কুট-কে হস্তান্তর করা হয়। এরপর বিভিন্ন বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত থাকার পর চলতি বছরের মে মাসে ইরান সরকারের কাছে অবৈধভাবে বিক্রি করার জন্য এগুলোকে পুনরায় সক্রিয় করা হয়।

 

এভিয়েশন সংশ্লিষ্ট কয়েকটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই পাঁচটি বোয়িং ৭৭৭ বিমান ইরানের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা মাহান এয়ারকে হস্তান্তর করা হবে। উল্লেখ্য, মাহান এয়ার একটি বিতর্কিত সংস্থা, যার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র পরিবহনের অভিযোগ এনেছে। ভেনিজুয়েলার একটি সংস্থার হয়ে কাজ করার সময় আর্জেন্টিনায় আটক হওয়া বোয়িং ৭৪৭ বিমানটিও মাহান এয়ারের মালিকানাধীন ছিল, যা পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র জব্দ করে ফ্লোরিডায় নিয়ে ধ্বংস করে দেয়।

 

ইরানের বিমান সংস্থাগুলোর বোয়িং ৭৭৭ পরিচালনার ঘটনা এটাই প্রথম। নিষেধাজ্ঞার আগে দেশটির বিমান সংস্থাগুলো এয়ারবাসের ওয়াইড-বডি বিমানই বেশি ব্যবহার করত। এর আগেও গত এপ্রিলে একইভাবে দুটি এয়ারবাস এ৩৩০-২০০ বিমান ওমান থেকে তেহরানে নিয়ে আসে ইরান এয়ার।

তথ্যসূত্র: এয়ার ডেটা নিউজ 


ডিবিসি/এমএআর

আরও পড়ুন