দীর্ঘদিন সফলতার সঙ্গে জঙ্গি দমনের পর এবার পুলিশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা- স্পেশাল ব্রাঞ্চের নেতৃত্ব দিবেন মনিরুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের চলতি দায়িত্বে পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবি'র প্রধান হয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান মনিরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন সফলতার সঙ্গে জঙ্গি দমনের পর এবার পুলিশের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা- স্পেশাল ব্রাঞ্চের নেতৃত্ব দিবেন তিনি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিট সাধারণত সরকারের নির্দেশনা বহন করে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী, সরাসরি সরকারপ্রধানকে রিপোর্ট করে থাকেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর শেষে ১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে মনিরুল ইসলামের কর্মজীবনের শুরু। বিসিএসে পুলিশ বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করা এই কর্মকর্তা টানা ৯ বছর উপকমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার হিসেবে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন।
দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় তারই প্রচেষ্টায় ২০১৬ সালে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম- সিটিটিসি ইউনিট গড়ে উঠে। সাফল্যের সঙ্গে পাঁচ বছর এই ইউনিটের নেতৃত্ব দেন এবং দেশে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
মনিরুলের কৌশল, বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞানের পরিধির কাছে বারবারই হোঁচট খেয়েছে দেশের সবগুলো জঙ্গি সংগঠন। এমনকি স্লিপার সেল করে, কাট আউট পদ্ধতিতে হামলা চালিয়েও শেষ রেহায় হয়নি আনসার আল ইসলামের জঙ্গিদের। হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসি হামলা করলেও তারপর আর দাঁড়াতেই পারনি নব্য জেএমবি। অনলাইনে উগ্রবাদ ছড়ানো ঠেকাতেও তার ইউনিট তৎপর।
দেশীয় জঙ্গি ছাড়াও তার নেতৃত্বে পাকিস্তানি লস্করে তৈয়বা, আসিফ রেজা কমান্ডো ফোর্সসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠস উলফার বেশ ক'জন শীর্ষস্থানীয় নেতাকেও তিনি আটক করেন।
পুলিশের বিশেষ শাখার দায়িত্বে ছিলেন মীর শহিদুল ইসলাম। তিনি অবসরে গেলে ওই দায়িত্ব দেয়া হয় মনিরুল ইসলামকে।