শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে অবশ্যই সঠিক ঘুম দরকার। কেননা ঘুমের মাধ্যমেই মানুষ শারীরিক ও মানসিক তৃপ্তি লাভ করে। সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততার পর মানুষ ঘুমাতে গেলে অনেক সময় দিনের সে সব কাজকর্ম স্বপ্নেও করতে থাকে।
আবার অনেকে ঘুমের মধ্যে ভয়ংকর স্বপ্ন দেখে। আর তা দেখে অনেকেই ভয় পেয়ে যায়। কেউ আবার হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠে। কেউবা চিৎকার চেঁচামেচি করে। তাতে মানুষের মাঝে ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়, যা মানুষকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলে।
তবে ঘুমে ভয় পাওয়ার ফলে অনেকে আর স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে পারে না। এ ভয়ে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ঘুমের মধ্যে ভয় পেলে হাদিসে নির্দেশিত দোয়া পড়া জরুরি।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যখন কোনো মানুষ ঘুমের মধ্যে ভয় পায় তখন যেন সে বলে
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِهِ وَعِقَابِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَّحْضُرُوْن
উচ্চারণ: আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাদাবিহি ওয়া ইক্বাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াত্বিনি ওয়া আই-ইয়াহদুরুন।’ (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার উছিলায় তাঁর ক্রোধ, শাস্তি এবং তাঁর বান্দাদের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা ও তার উপস্থিতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।
ঘুমের মধ্যে খারাপ স্বপ্ন দেখলে হাদিসে আরও কিছু আমলের কথা বলা হয়েছে। সেগুলোর উপর আমল করা উচিত। আমলগুলো হলো-
১. শরীরের বাঁ দিক করে তিনবার (বাতাসে আদ্র ধরনের) থুথু নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম, হাদিস: ২২৬১)
২. যে কাত হয়ে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, সে কাত পরিবর্তন করে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে শোবে। (মুসলিম, হাদিস: ২২৬২) অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।
৩. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারও কাছে বলবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবে না। (বুখারি, হাদিস: ৬৫৮৩)