শিশু বয়সে কমবেশি প্রায় সবারই মুখ থেকে লালা পড়তে দেখা যায়। এটি স্বাভাবিকভাবেই সবাই দেখেন। কিন্তু বড়দের মুখ থেকে লালা পড়তে দেখা যায় খুবই কম। অনেকের আবার ঘুমালে মুখ থেকে লালা পড়ে বালিশ ভিজে যায়। মুখ থেকে এই লালা ঝরে নানা কারণে। প্রতিকারে ব্যবস্থা নিলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কিছু বদ অভ্যাসের কারণেও এমনটি হয়ে থাকে। বিশেষ করে নখ দিয়ে দাঁত কাটার অভ্যাসের কারণে এমনটি হয়। এই অভ্যাস থাকলে বাদ দিতে হবে। কারণ মুখের ভেতরে হাত তিলে বা নখ কামড়ালে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কমে গিয়ে মুখের ভেতর সহজেই ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। যে কারণে মুখ থেকে লালা পড়তে পারে। তাই মুখ থেকে লালা পড়লে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অনেক সময় দাঁতের ফাঁকে খাদ্যকণা জমে লালা পড়ার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ দাঁত অসুস্থ হলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাউথ আলসারের কারণেও মুখে থুতু বেড়ে যায়। ঘুমানোর পরে এই থুতু তখন লালা আকারে বের হয়। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য জরুরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বিভিন্ন কারণে স্নায়ুতন্ত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি, মস্তিষ্কের বেশি ব্যবহার অথবা কিছু ওষুধ খাওয়া। যে কারণে ঘুমের সময় মস্তিষ্ক কিছু ভুল সংকেত পাঠায়। এর ফলে মুখে থুতু বেড়ে গিয়ে লালা পড়তে পারে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ও পরিমিত খাওয়া, ভিটামিন সি’সহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন।
এছাড়া ঠান্ডার সমস্যার কারণে মুখ থেকে লালা পড়তে পারে। আবার ঘুমের ভুল ভঙ্গির কারণেও হতে পারে। অনেকে টেবিলে বাহু ও মাথা রেখে চেয়ারেই ঘুমিয়ে পড়েন। এমন অবস্থায় সহজেই লালা পড়তে পারে। আবার অনেক সময় বালিশেও ঠিক ভঙ্গিতে ঘুমানো হয় না। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, পাকস্থলির ভারসাম্যহীনতার কারণে প্রাপ্তবয়স্কদের লালা পড়তে পারে। কেননা পাকস্থলি দুর্বল হলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমের ভেতরে লালা পড়ার সমস্যা থাকলে ঘুম ভালো হয় না। অনিয়মিত ঘুমের কারণে তখন শরীরে আরও অনেক সমস্যা বাসা বাঁধতে পারে। এসব বিষয়ে সতর্ক থেকে প্রতিকার করতে হবে।