ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। হোক সে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ, স্থানান্তর বা নষ্ট হওয়া মিটার পরিবর্তনের মতো কাজ। সরাসরি অফিসে গিয়ে চেষ্টা করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
অথচ ইলেক্ট্রিশিয়ানের মাধ্যমে কয়েকগুণ বেশি টাকা দিলে কাজ হাসিল হচ্ছে সহজেই। এমন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করলেও, সিন্ডিকেট ভাঙতে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানালেন জেনারেল ম্যানাজার।
তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সাহাব উদ্দিন এমন করেই ক্ষোভ ছাড়লেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভোগান্তি নিয়ে। কয়েক মাস আগে অনলাইনে আবেদন করে মিটার পেয়েছিলেন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে অফিসে মিটার জমা দেন। এরপর একাধিকবার গিয়েও আর মিটার ফেরত পাননি।
বিদ্যুতের নতুন সংযোগ স্থাপন থেকে শুরু করে স্থানান্তর, অথবা দুর্যোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেই শুরু হয় ভোগান্তি। অনলাইনে আবেদন করে সরকারি ফি পরিশোধ করলেও জটিলতায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। আগে মিটার পেতে ইলেক্টিশিয়ানের ওয়ারিং রিপোর্ট প্রয়োজন হতো। সেই সুযোগে আবেদন প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করতো তারা।
বর্তমানে নিয়ম পরিবর্তন করে গ্রাউন্ডিং রডের মেমো নম্বর জমা নেয়া হচ্ছে। তবে সিন্ডিকেট চক্র এখনো সক্রিয়। কয়েকগুণ টাকা না দিলে কাজ হচ্ছে না।
অভিযোগ রয়েছে, সিন্ডিকেটের নেপথ্যের কারিগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা।
এদিকে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি সুনামগঞ্জ পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানাজার মিলন কুমার কুন্ডু। দীর্ঘদিন ধরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘিরে যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, তা ভাঙতে দায়িত্বশীলরা কাজ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা সুনামগঞ্জবাসীর
ডিবিসি/ এইচএপি