চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে উঁচু জমিতে মালচিং ও মাচাং পদ্ধতিতে অসময়ে তরমুজ চাষ করে কৃষকরা সফলতা পেয়েছেন। এই পদ্ধতিতে চাষে উৎপাদন খরচ ও রোগবালাই কম হয়। অন্যদিকে, অসময়ে বাজারে তরমুজের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় এই চাষে অনেকের আগ্রহ বাড়ছে।
মিরসরাইয়ে মাঠজুড়ে মালচিং ও মাচাং পদ্ধতিতে ব্লাক বেবি, সূর্য ডিম, বাংলালিংক, রসগোল্লা, লিয়োনা, কিংসুপার, বিগবাইট, জাফরান ও সুইটবাইট জাতের তরমুজের আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও আর্থিক প্রণোদনায় কৃষকরা এই চাষ করছেন। কৃষকরা জানান, ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে তরমুজ পরিপূর্ণ রূপ পায় এবং এক একটি তরমুজ তিন থেকে ১০ কেজি ওজনের হয়। প্রতি কেজি তরমুজ ৭০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো ফলন ও উপযুক্ত দাম পাওয়ায় কৃষকরা সন্তুষ্ট।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় থেকে এবছর আটজন কৃষককে প্রদর্শনী প্লট দেওয়া হয়েছে, এছাড়াও দুইজন কৃষক নিজ উদ্যোগে এই পদ্ধতিতে চাষ করেছেন। উপজেলায় মোট ৩০০ শতক জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। মিরসরাইয়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় জানান, মালচিং ও মাচাং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে কৃষকরা সফলতা পাওয়ায় এতে অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
ডিবিসি/পিআরএএন