সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রায় আড়াই হাজার একর জমির উপর শুরু হয়েছে চট্টগ্রামের বে টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। বর্তমান বন্দরের চেয়ে চারগুণ বেশি সক্ষমতার এই টার্মিনালটির কার্যক্রম শুরু হবে ২০২৪ সালে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যেমে বিদেশি উদ্যোক্তাদের সহায়তায় মোট ৩টি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের ৯৪ ভাগ আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। আবার মূল রপ্তানি বাণিজ্যের ৯৮ শতাংশ হয় এই বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর জাহাজ, কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বাড়তে থাকায় তা সামাল দেয়া বন্দরের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৭ সালে নগরীর পতেঙ্গা ও হালিশহর সমুদ্র উপকূলভাগে বে-টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার।
নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৮০৪ একর জমির অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া ৬৪ একর জমি আমরা ইতিমধ্যে অধিগ্রহন করেছি। ২০২৪ সাল আমরা টার্গেট নিয়েছি এর মধ্যে বে টার্মিনালের অপারেশন আমরা শুরু করতে চাই।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০ ফুটের বেশি উচু করে মাটি ভরাট করা হচ্ছে ৪’শ একর জমিতে। এ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি ব্যবসায়ীদের।
এফবিসিসিআই পরিচালক মাহাবুব চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অন্যান্য কাজের মত করে যদি এই কাজ করা হয় তাহলে এটি ধীর গতিতেই চলবে। এই প্রকল্পটিকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মাধ্যমে শেষ করার টার্গেট নিতে হবে।
বর্তমানে বন্দরে ভিড়তে পারছে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফট ও দুই হাজার টিইইউস ধারণ ক্ষমতার জাহাজ। বে-টার্মিনাল হলে ১২ মিটার ড্রাফট ও ৫ হাজার টিইইউস ধারণ ক্ষমতার জাহাজ ভেড়ানো যাবে। চট্টগ্রাম বন্দরে শুধু জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে দিনের বেলায় জাহাজ চলাচল করে। বে-টার্মিনালের কর্মকান্ড চলবে ২৪ ঘণ্টা।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, একটি টার্মিনাল বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে ও এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে আরও দুটি টার্মিনাল করা হবে। এই তিনটি টার্মিনালের পরিধি বর্তমান বন্দরের চেয়েও বড় হবে।
বে টার্মিনাল নির্মাণে সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটির সঙ্গে জিটুজি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এছাড়া ডিপি ওয়ার্ল্ড, ডেনমার্ক, চায়না থেকে বিনিয়োগকারীরা বাকি দুটি টার্মিনাল নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।