চট্টগ্রামে উন্মুক্ত নালা-খাল যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ৯ বছরে নালায় পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন, যাদের বেশিরভাগই শিশু। সিটি করপোরেশন ৬৪৩টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করলেও মৃত্যু মিছিল থামছে না।
সেবা সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নগরীর হালিশহরের আনন্দপুর এলাকায় নালা থেকে আবর্জনা পরিষ্কারের পর স্ল্যাবগুলো খোলা অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে সড়ক ডুবে গেলে এসব উন্মুক্ত নালা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
সিটি করপোরেশন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়ার কাজ শুরু করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
২০২১ সালে মুরাদপুরে নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়া সবজি বিক্রেতা সালেহ আহমেদের মরদেহ আজও পাওয়া যায়নি। এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য নগরবাসী সেবা সংস্থাগুলোর অবহেলাকেই দায়ী করছেন।
গত ১৮ই এপ্রিল চকবাজারে নালায় রিকশা পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়। আর এই মৃত্যু মিছিলের সর্বশেষ শিকার ৩ বছরের হুমাইরা আক্তার, যে গত বুধবার (৯ই জুলাই) হালিশহরের আনন্দপুর এলাকায় খেলতে গিয়ে নালায় পড়ে মারা যায়।
ডিবিসি/এমইউএ