এবারও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। চলতি বছর শনাক্ত হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি। আর প্রাণ গেছে ১৮ জনের। আক্রান্ত হয়ে শকে চলে যাওয়া, দেরিতে চিকিৎসা নেয়াসহ কয়েকটি কারণে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে ডেঙ্গু আক্রান্তদের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোতে আগাম প্রস্তুতি রয়েছে।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত এই রোগে এ পর্যন্ত রেকর্ড ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় ২০২৩ সালে। আর প্রাণহানি ছাড়ায় এক হাজার সাতশো। ২০২৩ সালে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় এবং মারা যায় ১ হাজার ৭০৫ জন। পরের বছর ২০২৪ সালে রোগীর সংখ্যা ছিল লাখের বেশি মানুষ। অর্থাৎ ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৫৭৫ জন।
আর চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৮ জন, আক্রান্ত ছাড়িয়েছে দুই হাজার। এ বছর পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডেঙ্গু প্রতিরোধের যে কঠোর পরিকাঠামো প্রয়োজন তা গড়ে তুলতে পারেনি সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ডেঙ্গুর মৌসুমকে ঘিরে আগাম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে হাসপাতালগুলোতে। সম্প্রতি এক সভায় নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক।
ডিবিসি/রাসেল