অবশেষে চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গতকাল সোমবার (১০ এপ্রিল) থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত এগারোটার দিকে নিজের প্রতিষ্ঠা করা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এর আগে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসায় রবিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এরপরই তারা হাসপাতালে একটি সভা করেন।
সেসময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেডিকেল বোর্ডে কিডনি, মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসক আছেন।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মোস্তাফী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। আগে চোখ খুললেও গতকাল থেকে চোখ খুলছেন না। গতকালই তাকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। গত ৫ এপ্রিল থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। কিডনি ফেইলিউর, লিভারের সমস্যা, হার্টের সমস্যাসহ সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত তিনি। শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ও ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ার কারণে তাকে বিশেষ ওষুধও দেওয়া হচ্ছিল।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।
ডিবিসি/ কেএমএল