বাংলাদেশ, রাজনীতি

চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে যুবদল নেতাকে মারধর করলেন নিজ দলের সমর্থকেরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৭ই মার্চ ২০২৫ ০৭:৩২:২২ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসাইন নৌশাদ শিকদারকে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মারধর করেছে শহীদ জিয়া পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: টুটুল ও জিয়া প্রজন্ম দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: সজীবের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি। তবে চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হামলার শিকার ওই যুবদল নেতা।

বৃহস্পতিবার (৬ই মার্চ) দুপুরে মিঠামইন উপজেলার মিঠামইন বাজারের শিকদার গেস্টহাউসের নিচে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্য যুবদল নেতা নৌশাদকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করার ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

 

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করে নৌশাদকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে টুটুল ও সজীবের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যক্তি। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

 

এ বিষয়ে মো: টুটুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। বলেন, ‌‌'জি, জি মারছি। আমার গোষ্ঠীর দাদা মোমেদ আলীর দোকান এক মাস আগে জোর করে বন্ধ করে দেয় নৌশাদ। দোকান চালু করতে হলে তাকে নগদ ১ লাখ টাকা ও প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হবে বলে দাবি করে সে।'

 

মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসাইন নৌশাদ শিকদার বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না কী কারণে আমাকে মারধর করল। আমি কারও কাছ থেকে কোনো চাঁদা দাবি করিনি। আমি জানিই না কিছু। ওরাই জানে কী কারণে আমাকে মারল।’

 

কিশোরগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদের দল থেকে বহিষ্কার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল আলম বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই শুনেননি। অভিযোগও পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

 

ডিবিসি/কেএলডি

আরও পড়ুন