সহিংসতা ও কারফিউয়ের কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম নিয়ে বিপাকে আম চাষী ও আম ব্যবসায়ীয়রা। ফলে গাছেই পেকে পচে যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা আম। ক্ষতি শঙ্কায় মাথা হাত চাষীদের।
আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাগানগুলোতে বাহারি জাতের আম নিয়ে বিপাকে দিন পাড় করছেন চাষীরা। সহিংসতা ও কারফিউয়ের কারণে রাস্তায় যানবাহন না চলা ও বাজারগুলো ক্রেতা না আসায় আম পারতে পারছেন না কৃষকরা।
বাগান মালিকরা জানান, গাছেই আম পেকে পচে নষ্ট হচ্ছে। কিছু পাকা আম গাছ থেকে সংগ্রহ করে বাজার নিয়ে গেলোও ক্রেতা না থাকায় সেগুলো নিয়ে বিপাকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।
আম চাষী মনজের আলম মানিক জানান, জেলায় এবার আম কম আসলেও দামটা বেশ ভাল পাচ্ছিলাম। কিন্তু সহিংসতা ও কারফিউয়ের কারণে বাগানের আমগুলো সংগ্রহ যাচ্ছে না। গাছেই আম পেকে নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে না পারলে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি হবে।
আম চাষী কামরুল হাসান জানান, গেলো ৮ থেকে ১০ দিন কারফিউয়ের মধ্যে সারাদেশ। এর প্রভাব আমের রাজধানীতে পড়েছে। ফলে পরিপক্ক আমগুলো গাছে পেকেই পড়ে যাচ্ছে। এ কারণে চাষিদের এখন আম নিয়ে মাথায় হাত।
এদিকে শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম জানান, যারা আম চাষ করি তারা কারফিউয়ের মধ্যে আতংকের মধ্যে রয়েছে। ফজলি, বারি-৪ ও আম্রপালি আমগুলো এখন ওভার ম্যাচুয়েড হয়ে গেছে। কারফিউয়ের কারণে বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জের বাজারগুলো বন্ধ থাকাই আমাগুলো পাঠাতে পারছেনা আম চাষীরা। অনলাইনে যারা আমের ব্যবসা করতো সেসব ব্যবসায়ী বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আর জেলায় সহিংসতা ও কারফিউয়ের কারণে আমের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকারের জানা না থাকলেও সীমিত পরিসরে আম বেচাকেনা হচ্ছে। তবে মণ প্রতি ৩শ থেকে ৪শ টাকা কম দরে আম বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি জানান তিনি।
এ বছর জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে সাড়ে ৪ লাখ মেট্টি টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে।
ডিবিসি/এনএম