চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরীক্ষামূলকভাবে কালো রংয়ের সুগন্ধি ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভাল।
পুষ্টিগুণ বেশি ও বাজার দর ভালো হওয়ায় এ জাতের ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের মধ্যে। কৃষি বিভাগ আগামীতে এ জাতের সম্প্রসারণের বিষয়ে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে যোগাযোগ করেছে।
সবুজের মাঝে কালো রংয়ের সুগন্ধি ধানের আবাদ শুরু করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ঝিলিম ইউনিয়নের মানিক। পরীক্ষামূলকভাবে পৌনে দুই বিঘা জমিতে এ ধানের আবাদ করা হয়।
ভারতের কৃষ্ণভোগ ধানের বীজ হলেও মানিক তার একজন কৃষকের নামে এ ধানের নাম রাখেন বাদল ধান। নতুন জাতের এ ধানের নামের স্বীকৃতিও চান তিনি।
অন্যান্য জাতের ধান বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৮ মণ হলেও এই সুগন্ধি ধান প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ ফলন হয়। এ জাতের ধানে কম খরচ, অধিক পুষ্টি ও বেশি দাম হওয়ায় এ ধান আবাদ করেন মানিক।
নতুন জাতের ধান উৎপাদনকারী কৃষক মানিক বলেন, আমার সহকর্মী বাদল ভাইয়ের নামে আমরা এ ধানের নাম রেখেছি। মূলত এটা কালো ধান এর ফলন আশা করছি বিঘায় ১০-১৫ মনের মতো হবে। যেহেতু এটার খরচ কম বীজও করা যাবে।
খরচ কম লাগায় আগামী বছর এ জাতের ধান চাষে অন্যান্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আর কৃষি বিভাগ এরিমধ্যে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে যোগাযোগ করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাথে যোগাযোগ করছি। যদি এখানকার জন্য এ ধান উপযোগী হয়। তাহলে কৃষক এই ধান পর্যায়ক্রমে চাষ করতে পারবে।’