সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীতে চলছে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন লাখ পিস চামড়া এসেছে কারখানাগুলোতে। এ বছর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় এক কোটি পিস। তবে, জেলা পর্যায়ে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বেচাকেনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ মৌসুমী ব্যবসায়ীদের।
সাভারের ট্যানারি পল্লী এখন এক কর্মচঞ্চল নগরী। কোরবানীর পশুর চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণে ব্যস্ত মালিক-শ্রমিকরা। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকেই রাজধানীসহ আশেপাশের চামড়া আসতে শুরু করে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে। ঈদের ১০ দিন পর্যন্ত করা হবে ঢাকাসহ আশেপাশের চামড়া সংগ্রহ। এরপর নেয়া হবে দূরের লবনযুক্ত চামড়া। বিক্রেতারা জানান, এবার আশানুরূপ দাম মিলছে।
অবশ্য সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া কেনার কথা বলছেন ট্যানারী মালিকরা। শিল্প নগরীর কার্যক্রম পরিদর্শণ শেষে শিল্প সচিব জানান, এখন পর্যন্ত চামড়া নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা নেই।
এদিকে, দিনাজপুরে সরকারের বেধে দেয়া দামে চামড়া বেচা-কেনা হচ্ছে না। এবারও ছাগলের চামড়াসহ বেশ কিছু গরুর চামড়া ফেলে দেয়া হয়েছে। মৌসুমী বিক্রেতাদের অভিযোগ, বেঁধে দেয়া দামে চামড়া কেনার পর বিক্রি করতে হচ্ছে অর্ধেকে। আর আড়তদাররা বলছেন, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়ার ধরণ না বুঝেই বেশি দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে, নাটোরের চকবৈদ্যনাথে চামড়ার আড়ত পরিদর্শন করছেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান। এসময় কিছু চামড়া লবণজাত না হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি।
ডিবিসি/এনএসএফ