চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী ফায়ারম্যান লিডার ইমরান হোসেন মজুমদারের (৪০) জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল আটটায় নিহতের নিজ গ্রামের বাড়িতেই দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাজার পূর্বে তাকে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন ছুটে এসে জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজায় প্রায় দুই হাজারের অধিক মানুষ হাজির হন।
এর আগে, সীতাকুণ্ড অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্ধারকাজে গিয়ে লিডার ইমরান হোসেন মজুমদার অগ্নি বিষ্ফোরণে মৃত্যুবরণ করেন। পরে পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে মরদেহ সনাক্ত করতে না পারায় সোমবার ডিএনএ পরীক্ষা শেষে রাতেই মরদেহ বাড়ি নিয়ে আসেন নিহতের পরিবার।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সাহিদুল ইসলাম বলেন, ’ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর জসীমউদ্দীনের তত্ত্বাবধানে গতকাল সোমবার রাতে কুমিল্লা থেকে নিহত ইমরান হোসেন মজুমদারের মরদেহ চাঁদপুরে নিয়ে আসা হয়। পরে, ফায়ার সার্ভিস এর পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এবং হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। আমি নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং যেকোনো প্রয়োজনে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস তাদের পাশে আছে বলে আশ্বস্ত করেছি।’
উল্লেখ্য, নিহত ইমরান মজুমদার বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে ২০০১ সালে ফায়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন। তিনি কচুয়া উপজেলার উত্তর কচুয়ায় ইউনিয়নের সিংড্ডা গ্রামের মরহুম মকবুল হোসেনের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি দুই সন্তান গেছেন। এছাড়াও তার স্ত্রীর ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফরিদ সহ এলাকাবাসী জানান, ইমরান হোসেন মজুমদার অত্যন্ত ভদ্র ও ভালো একজন মানুষ ছিলেন। তিনি সব সময় এলাকায় আসলেই সবার সাথে ভালো ব্যবহার ও খোঁজখবর নিতে। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসী গভীর শোকাহত।