চুয়াডাঙ্গায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আল মিরাজ (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত তার বাবা তৈয়ব আলীও (৪০) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬শে আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভালাইপুর মোড়ের কাছে পোলের মাঠে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাসান আলী বাবু (৪৩) ও রাজীব হাসান রাজুকে (৩২) ধারালো অস্ত্রসহ ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় কাঠা জমির মালিকানা নিয়ে তৈয়ব আলী ও তার ছেলে মিরাজের সঙ্গে তাদের আপন ভাতিজা বাবু এবং ভাগ্নে রাজুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই সমস্যা সমাধানে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো মীমাংসা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে তৈয়ব আলী ও তার ছেলে মিরাজ মাঠে চাতালে পাট শুকানোর কাজ করছিলেন। এ সময় বাবু ও রাজু অতর্কিতভাবে তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। উপর্যুপরি কোপে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন মিরাজ এবং তার মৃত্যু হয়। গুরুতর জখম হন বাবা তৈয়ব আলী। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ৩টার দিকে তিনিও মারা যান।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আলুকদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আল বেলাল জানান, শরিকানা জমি নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছিল। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আজ এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটল।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের কারণেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বাবু ও রাজুকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’
ডিবিসি/এনএসএফ