চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী পাপিয়া খাতুনকে শনিবার (২৭শে জুলাই) দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত ব্যক্তির নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি জীবননগর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মনিরুল ইসলামের সাথে তার স্ত্রী পাপিয়া খাতুনের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক টানাপোড়েন চলছিল। ছেলে রাজুকে বিদেশে পাঠানোর জন্য মনিরুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন পাপিয়া। মনিরুল টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চরমে ওঠে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, শনিবার (২৭শে জুলাই) দুপুরে নিজ বাড়িতেই স্বামী মনিরুল ইসলামকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন পাপিয়া খাতুন। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মনিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো হাসুয়া ও একটি কুড়াল আলামত হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে জীবননগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামি পাপিয়াকে গ্রেপ্তারের পর আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ডিবিসি/এএমটি