চুয়াডাঙ্গায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হলো সদর হাসপাতাল। অসুস্থ মায়ের মৃত্যুর সংবাদ সইতে না পেরে মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ছেলেও।
শনিবার (২৪শে আগস্ট) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যা পুরো এলাকায় শোকের ছায়া ফেলে দিয়েছে। নিহতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বাগানপাড়া এলাকার মৃত আলাউদ্দীনের স্ত্রী চায়না খাতুন (৬৩) এবং তার ছোট ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে চায়না খাতুন হঠাৎই মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যান এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এদিকে, মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ছেলে সাইফুল ইসলাম। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছেই তিনি তার মায়ের মৃত্যুর দুঃসংবাদ পান। মায়ের মৃত্যুশোক তিনি সইতে পারেননি। আকস্মিক এই আঘাতে তিনি হাসপাতালেই স্ট্রোক করেন এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মা ও ছেলের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে স্বজনদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে তাদের মরদেহ বাগানপাড়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ইসরাত জেরিন জেসিকা ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "মাথায় আঘাত নিয়ে আসা চায়না খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর ছেলে সাইফুল ইসলাম হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং তিনিও মারা যান। আনুমানিক ১০ মিনিটের ব্যবধানে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়।"
ডিবিসি/আরএসএল