চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি বসানো হলেও গত ১৩ বছরেও তা চালু করা সম্ভব হয়নি।
১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী এই চিনিকলটির আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণের জন্য ২০১২ সালের জুলাইয়ে সরকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়।প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০১৬ সালে শেষ হলেও কিছু সংযোজনের জন্য ২০১৮ সালে প্রকল্পটি সংশোধন করে একনেক অনুমোদন দেয়। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ধরা হলেও দফায় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে তা ১০২ কোটি ২১ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভারতীয় প্রযুক্তির অটোমেশন মেশিন বসানোর কারণে জটিলতা দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাও এর জন্য দায়ী। তবে প্রকল্পের পরিচালক ফিদা হাসান বাদশা দাবি করেছেন, ইতিমধ্যে ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, চলতি মাসেই প্রকল্পের কাজ শেষ করে পুরোদমে আধুনিক উৎপাদন শুরু করা যাবে। বর্তমানে কেরু চিনিকল চিনি ছাড়াও উপজাত পণ্য হিসেবে ওষুধ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ভিনেগার, জৈব সার, মদ ও চিটাগুড় উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে।
ডিবিসি/আরএসএল