জাতীয়, রাজনীতি

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ২১ জন বহিষ্কার, ১১ জনের পদত্যাগ

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১৮ই ডিসেম্বর ২০১৯ ০৬:১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

অভিযুক্ত ৩২ ছাত্রলীগ নেতাকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি।

নানা অনিয়মের অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ২১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর সেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন ১১ জন।মঙ্গলবার রাতে, ছাত্রলীগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণসাপেক্ষে ২১ জনকে ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হলো। এই ২১ জন হলেন— সহসভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভির, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হোসেন হাওলাদার, শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, সাদিক খান, সোহানী হাসান তিথী, মুনমুন নাহার বৈশাখী, আবু সাঈদ (সাস্ট), রুহুল আমিন, রাকিব উদ্দিন, সোহেল রানা ও ইসমাইল হোসেন তপু; দফতর সম্পাদক আহসান হাবীব; ধর্ম সম্পাদক তাজ উদ্দীন; উপদফতর সম্পাদক মমিন শাহরিয়ার ও মাহমুদ আব্দুল্লাহ বিন মুন্সী; উপসাংস্কৃতিক সম্পাদক বি এম লিপি আক্তার ও আফরিন লাবনী এবং সহসম্পাদক সামিয়া সরকার ও রনি চৌধুরী।

আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নেতাদের নিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ থেকে ১১ নেতাকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের পদ শূন্য করা হলো। এই ১১ জন হলেন— সহসভাপতি এস এম তৌফিকুল হাসান সাগর, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বি এম শাহরিয়ার হাসান, হাফিজুর রহমান ও এস এম হাসান আতিক; স্বাস্থ্য সম্পাদক শাহরিয়ার ফেরদৌস; উপস্বাস্থ্য সম্পাদক রাতুল সিকদার ও শাফিউল সজিব; উপপ্রচার সম্পাদক সিজান আরেফিন শাওন; উপপাঠাগার সম্পাদক রুশী চৌধুরী এবং সহসম্পাদক আঞ্জুমানারা অনু।

অব্যাহতি পাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরে যুক্ত থাকা, বিবাহিত হওয়া এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকাসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ ছিল।

২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। পরে চলতি বছরের ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন শোভন-রাব্বানী। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ছাত্রদল-জামায়াত শিবির ও ব্যবসায়ী, বিবাহিতদের পদ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল  শেষে তারা সন্ধ্যায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে পদপ্রাপ্ত কিছু নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকরা পদবঞ্চিতদের ওপর হামলা চালায়। পরে পদবঞ্চিতরা আন্দোলন শুরু করেন এবং ৯৯ জনের একটি তালিকাও প্রকাশ করেন। পদবঞ্চিতদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ১৫ মে মধ্যরাতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জানান, নতুন কমিটির ১৭ জন ‘বিতর্কিত’ বলে অভিযোগ পেয়েছেন তারা। পরে ২৯ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির ১৯টি পদ শূন্য ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।
 

আরও পড়ুন