আন্তর্জাতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ছায়াপথের বাইরে প্রথম গ্রহের লক্ষণ দেখতে পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

Tanjia Khanam Borshon

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২৭শে অক্টোবর ২০২১ ০৩:৫৯:১২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ছায়াপথের বাইরে প্রথমবারের মতো কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এ পর্যন্ত বিভিন্ন নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার গ্রহের সন্ধান পেলেও সবগুলোই ছিল মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ভেতরে। তবে এই আবিষ্কার নিশ্চিত হতে প্রয়োজন আরও সময় ও গবেষণার।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মিল্কিওয়ে ছায়াপথের বাইরে প্রথমবারের মতো কোনও গ্রহ দেখতে পেয়েছেন। সূর্যের চারদিকে ঘুরতে থাকা গ্রহগুলোর মতো বিভিন্ন নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরতে থাকা প্রায় পাঁচ হাজার গ্রহ এর আগে শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সেগুলোর সবই মিল্কিওয়ে ছায়াপথে দেখা গেছে। এই প্রথমবারের মতো আমাদের ছায়াপথের বাইরে কোনো গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

মেসিয়ের-৫১ গ্যালাক্সিতে থাকা এই সম্ভাব্য গ্রহটিকে আবিষ্কার করেছে নাসার চান্দ্রা এক্স-রে টেলিস্কোপ। মেসিয়ার ৫১ নক্ষত্রপুঞ্জকে এর প্যাচানো আকৃতির জন্য ওয়ার্লপুল বা ঘূর্ণি ছায়াপথ বলেও বর্ণনা করা হয়।

আমরা যে নক্ষত্রপুঞ্জে রয়েছি, সেই মিল্কিওয়ে ছায়াপথ থেকে এটির দূরত্ব দুই কোটি আশি লাখ আলোকবর্ষ। অর্থাৎ আলো যে গতিতে ভ্রমণ করে, সেই ভ্রমণ করলে এ গ্রহে পৌঁছাতে দুই কোটি আশি লাখ বছর সময় লাগবে।

হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকস ইন কেমব্রিজের ড. ডি স্টেফানো বিবিসিকে বলেছেন, ''আমরা যে পদ্ধতিতে কাজ করছি, এটাই এখন পর্যন্ত অন্য কোনো ছায়াপথে থাকা গ্রহ-নক্ষত্র খুঁজে বের করার কার্যকর উপায়।''

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যেসব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছেন, তা থেকে  ধারণা করছেন যে সম্ভাব্য এই গ্রহটি আকারে শনির গ্রহের মতো। যে নিউট্রন স্টার বা ব্ল্যাক হোল ঘিরে এটি ঘুরছে, সেটির সঙ্গে দূরত্ব সূর্য থেকে শনির দূরত্বের প্রায় দ্বিগুণ।

এক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হলো, বিশাল কক্ষপথের কারণে যে নক্ষত্র বা ব্ল্যাকহোল ঘিরে গ্রহটি ঘুরছে আবার সেটির সামনে আসতে প্রায় ৭০ বছর সময় লেগে যাবে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এই আবিষ্কারের ফলাফল যাচাই করার উপায় আপাতত নেই।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমনটাও হওয়া সম্ভব যে, নক্ষত্রটির সামনে কোনো গ্যাস ও ধুলোর মেঘ পড়লেও আলোর বিকরণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে হয়তো বাধাগ্রস্ত হয়েছে এক্স-রে বিকিরণ। যদিও সেই সম্ভাবনা একেবারেই কম বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ আলোর বিকিরণ যেভাবে কমে গেছে, সেটি কোনো গ্যাসের আস্তরণের কারণে হয়েছে বলে তারা মনে করেন না। তবে গবেষকরা স্বীকার করছেন, এই বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে তাদের আরও তথ্য-উপাত্ত দরকার।

আরও পড়ুন