বাংলাদেশ, রাজধানী

ছুটির দিনেও রাজধানীতে দোকানপাট প্রায় ক্রেতাশূন্য

ডেস্ক প্রতিবেদন

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ২৭শে জুলাই ২০২৪ ১০:০৫:২০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কর্মচাঞ্চল্যবিহীন একটি দিন কাটল শুক্রবার (২৬শে জুলাই) রাজধানী ঢাকাতে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সাধারণত রাজধানীতে দিনের প্রথমার্ধে তেমন কর্মচাঞ্চল্য থাকে না। তবে দোকানপাট, বিপণিবিতানগুলো খোলা থাকে। কিন্তু বিকেল দিকে সড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে গেলেও দোকানপাটে তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি।

শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তার অভিঘাত থেকে পুরো বেরিয়ে আসতে পারেনি নাগরিক জীবনযাত্রা। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল। তা সত্ত্বেও দোকানপাটে তেমন বেচাকেনা হয়নি। বিভিন্ন এলাকার মার্কেটগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, লোকসমাগম ছিল খুবই অল্প। এতে বেচাকেনা হয়েছে সামান্যই।

আজ শনিবারও (২৭শে জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানী কারফিউমুক্ত থাকবে।

দেখা যায়, নিউ এলিফ্যান্ট রোডের জুতার মার্কেটগুলোর সারি সারি দোকান ছিল প্রায় ক্রেতাশূন্য। অধিকাংশ দোকানে কোনো বিক্রিই হয়নি। এক দোকানদার জানান, এই এলাকায় শুক্রবার সাধারণত বিক্রি অন্য দিনের তুলনায় বেশি থাকে।

তাঁদের দোকানে প্রতিদিন ৩০-৩৫ জোড়া জুতা-স্যান্ডেল বিক্রি হয়। সেখানে গতকাল বেলা তিনটা অবদি মাত্র দুই জোড়া বিক্রি হয়েছে। দোকান খুলতে হচ্ছে এক ঘণ্টা দেরিতে বেলা ১১টায়, আবার বন্ধ করতে হচ্ছে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে। ৫টা থেকে কারফিউ শুরু হয়। প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে দোকানমালিকের।

শাড়ির জন্য ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের রয়েছে বিশেষ পরিচিতি। বুধবার থেকে দিনের বেলায় কারফিউ শিথিল করায় মার্কেট খুললেও ক্রেতা ছিল খুবই কম। হকার্স মার্কেটের  দোকানদাররা বলেন, সংঘাত শুরুর পর থেকে সপ্তাহখানেক ধরে কোনো বেচাকেনা নেই। এমনিতেই ইদানীং শাড়ির বিক্রি তুলনামূলক কম, এখন এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে শাড়ি কিনতে কে আসবেন? মানুষ এখন জরুরি দরকারের জিনিসপত্র, ভোগ্যপণ এসবই কিনছেন।

এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে নিউ মার্কেটের অন্যান্য দোকান গুলোতেও। বিক্রেতারা জানান, দোকানে খুচরা ও পাইকারি দুই ধরনের কেনাবেচা হয়। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত সৃষ্টির পর থেকে পাইকারি বিক্রি একেবারেই বন্ধ। কারফিউ উঠে গেলেও খুচরা বিক্রি তেমন হচ্ছে না।

তবে রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে দোকানপাট পাঁচটার মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে পাড়া-মহল্লায় রাত প্রায় আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত মুদিখানা, স্টেশনারি, হার্ডওয়্যারের দোকান, রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকান খোলা দেখা যায়।

ডিবিসি/এনএম 

আরও পড়ুন