জীবনের সবচেয়ে বড় সুখবর পেলেন নাসির হোসেন। ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। গত ৮ই এপ্রিল নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা তাম্মী দম্পতির কোলজুড়ে এসেছে তাদের প্রথম সন্তান।
ব্যস্ততায় ভক্তদের এই সুখবর জানাতে কিছুটা দেরি হয়েছে এই ক্রিকেটারের। নাসির জানিয়েছেন, তারা ছেলের নাম রেখেছেন আব্দ মানাফ। সন্তান ও স্ত্রী দুজনই সুস্থ আছে বলে জানালেন এই অলরাউন্ডার।
নতুন অতিথিকে নিয়ে নাসির বলেন, ‘গত ৮ই এপ্রিল আমাদের ছেলের জন্ম হয়েছে। কাউকে জানানো হয়নি এতদিন। মা ও ছেলে দুজনই সুস্থ আছে। ছেলের নাম মানাফ। সবাই দোয়া করবেন।’
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ঘরোয়াভাবে স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বেবি শাওয়ারের অনুষ্ঠান করেন নাসির। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২৫শে ফেব্রুয়ারি পোস্ট করে সবার কাছে দোয়া চান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে গোলাপি রঙের গাউনে নাসিরের সঙ্গে দেখা যায় মা হওয়ার অপেক্ষায় থাকা তামিমাকে।
নাসিরের স্ত্রী তামিমা পেশায় একজন বিমানবালা। তিনি সৌদিয়া এয়ারলাইনসে কর্মরত রয়েছেন। চাকরির সুবাদে তিনি ২০২০ সালের ১০ই মার্চ সৌদিতে গিয়েছিলেন। মহামারির কারণে জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে সেখানেই অবস্থান করেন।
এরপর গত বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর উত্তরার এক রেস্তোরাঁয় ক্রিকেটার নাসিরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তামিমা। তাদের গায়ে হলুদ ও বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান যথাক্রমে ১৭ ও ২০শে ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হয়।
নতুন সংসার শুরু করতে না করতেই নাসিরের বিয়ে নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসান দাবি করেন, তালাক না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন তামিমা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন তামিমা ও নাসির।
এরপর সংবাদ সম্মেলন করে তামিমা তার আগের স্বামীকে তালাক প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন। কিন্তু তার সেই বক্তব্যের সঙ্গে পাসপোর্টের তথ্য কোনোভাবেই মিলছে না।
পুলিশ বলছে, ২০১৭ সালেই স্বামী রাকিব হাসানকে তালাক দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তামিমা। কিন্তু ২০১৮ সালের পাসপোর্ট আবেদনে স্বামী হিসেবে তিনি রাকিবের নামই উল্লেখ করেন। ফলে এখানে তালাকের বিষয়টি নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। দুটি তথ্য সঠিক হওয়ার সুযোগ নেই।
পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য সঠিক হলে তালাক সংক্রান্ত তথ্য অসত্য। আবার যদি তালাক দেওয়াকে সঠিক ধরে নেওয়া হয়, তা হলে পাসপোর্টে অসত্য তথ্য দেওয়ার কারণে তার পাসপোর্ট বাতিলসহ আইনিব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগও থেকে যাচ্ছে।