বাড়ির আদরের পোষ্য জার্মান শেফার্ড। সন্তানস্নেহে লালনপালন করেছিলেন যাকে, সেই প্রাণপ্রিয় কুকুরই কেড়ে নিল ৯০ বছরের বৃদ্ধার প্রাণ। ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরের রাওয়াতপুরে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, মোহিনী ত্রিবেদী নামে ওই বৃদ্ধাকে আঁচড়ে কামড়ে ফালাফালা করে দেয় তাদের পোষ্য কুকুরটি। কুকুরটি হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে এবং ঝাঁপিয়ে পড়ে বৃদ্ধাকে কামড়াতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে দেয় মাটিতে। তার মুখ, পেট এবং কোমরে গুরুতর আঘাত লেগেছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মহিলার মৃত্যু হয়।
পুত্রবধূ কিরণ এবং নাতি ধীর প্রশান্ত ত্রিবেদীর সঙ্গে থাকতেন মোহিনী ত্রিবেদী। আর ছিল এই পোষা কুকুরটি। যখন এই ঘটনাটি ঘটে তখন কিরণ এবং প্রশান্ত ঘরের ভিতরে ঘুমোচ্ছিলেন। মোহিনী কিছু কাজের জন্য উঠোনে বের হলে জার্মান শেফার্ডটি তাকে উদ্দেশ করে চিৎকার করতে শুরু করে। চিৎকারে বিরক্ত হয়ে মোহিনী তাকে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গেই পালটা মোহিনী দেবীর উপর চড়াও হয় পোষ্য জার্মান শেফার্ড। মোহিনী দেবীর মাথা, মুখ, হাত, পেট সহ সারা শরীর কামড়ে খুবলে দেয় হিংস্র কুকুর। গুরুতর জখম অবস্থায় মোহিনী দেবীকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার সময় মোহিনী ত্রিবেদীর পুত্রবধূ কিরণ ত্রিবেদী ও নাতি ধীর বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাদের পা ভাঙা থাকায়, তারা পোষ্য কুকুরের আক্রমণ উদ্ধারে ছুটে আসতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের কানপুর পুরনিগমের টিম নিয়ে এসে উদ্ধার করে ওই বৃদ্ধাকে। হাসপাতালে নিয়ে যায় তাকে। অন্যদিকে জার্মান শেফার্ডটিকে ভেটিনারি পুরনিগমের দফতরে নিয়ে আসে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ওদিকে পোষ্য কুকুরটিকে ফেরত পেতে কানপুর পুরনিগমের কাছে লিখিত আর্জি জানিয়েছেন জার্মান শেফার্ডের মালিক, মৃতার ছেলে ধীর প্রশান্ত ত্রিবেদী।
ডিবিসি/এমআর