চীনের বেইজিংয়ে এক প্রদর্শনী চলাকালীন দুর্ঘটনাবশত প্রায় ৩ কোটি টাকা (২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার) মূল্যের একটি সোনার মুকুট ভেঙে ফেলেছে এক শিশু। তবে এই বিপুল ক্ষতির পরেও শিশু বা তার পরিবারের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ দাবি করেননি মুকুটটির মালিক ও জনপ্রিয় চীনা ইনফ্লুয়েন্সার ঝাং কায়ি।
১৩.৬ মিলিয়ন ফলোয়ারের অধিকারী ঝাং কায়ি জানান, ২ কেজি ওজনের এই ‘ফিনিক্স ক্রাউন’ বা মুকুটটি তার স্বামী ভালোবেসে বিয়ের উপহার হিসেবে নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন। বেইজিং এক্স মিউজিয়ামে ‘লাভ’ বা ভালোবাসা থিমের এক প্রদর্শনীতে মুকুটটি দর্শনার্থীদের জন্য রাখা ছিল।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রদর্শনীতে এক নারী মুকুটটির ছবি তোলার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা প্রাথমিক স্কুলপড়ুয়া ছেলেটি কাচের শোকেসটি পরিষ্কার করার চেষ্টা করে, যাতে তার মা স্পষ্ট ছবি তুলতে পারেন। কিন্তু শোকেসটি বেদির সঙ্গে শক্তভাবে আটকানো না থাকায় সেটি উল্টে পড়ে যায় এবং ভেতরে থাকা সোনার মুকুটটি ভেঙে যায়।
সাত মাসের গর্ভবতী ঝাং এই ঘটনায় প্রথমে বেশ ভেঙে পড়েন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, এটি তাদের অনাগত সন্তান ও সংসারের জন্য অমঙ্গলজনক হতে পারে। তবে নেটিজেনরা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে জানান, প্রিয় জিনিস ভেঙে যাওয়া অনেক সময় বড় কোনো বিপদ কেটে যাওয়ার ইঙ্গিত বহন করে।
পরবর্তীতে ঝাং জানান, মুকুটটির ইনস্যুরেন্স বা বীমা করা থাকায় তিনি ওই পরিবারের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ চাইবেন না। ক্ষতির বিষয়টি ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ এবং তারা দম্পতি মিলে সামলে নেবেন। তবে তিনি অভিভাবকদের সতর্ক করে বলেন, প্রদর্শনীতে গিয়ে ফোনের দিকে মনোযোগ না দিয়ে শিশুদের প্রতিও খেয়াল রাখা জরুরি।
সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
ডিবিসি/এনএসএফ