বাংলাদেশ, অর্থনীতি, জেলার সংবাদ

জামালপুরে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু

জামালপুর প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ১লা জুন ২০২৫ ১১:৫৬:২০ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় জামালপুর-১ গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ শেষে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। এর আগে শনিবার (৩১শে মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে আগুন প্রজ্জ্বলন করে গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

গ্যাসের মজুদ পর্যালোচনার জন্য ডিএসপি-১ পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা শেষে কূপে কি পরিমাণ গ্যাস রয়েছে তা জানা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্রোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

 

এক্সপ্রেশন ব্লক-৮ এর জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া গ্রামে ১৯৮৪ সালে সংগৃহীত সাইসমিক উপাত্ত থেকে সর্বপ্রথম লিড/প্রসপেক্টের ধারণা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ২০১৪-১৫ মাঠ মৌসুমে মাদারগঞ্জের তারতাপাড়া এলাকায় দ্বি-মাত্রিক সাইসমিক জরিপ এবং ২০১৫-১৬ সালে ক্লোজ-গ্রিড সাইসমিক সার্ভে সম্পন্ন করা হয়। ২০১৭ সালে গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্পের কাজ শুরু করা হলে, আজারবাইজানের প্রতিষ্ঠান ‘সকার’ সেই কাজটি পায়। তবে খনন কাজ শেষ না করেই চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। আজারবাইজানের প্রতিষ্ঠানটি চলে যাওয়ার সাত বছর পর চলতি বছরের ২৪শে জানুয়ারি জামালপুর-১ নামে গ্যাস কূপটির খনন কাজ শুরু বাংলাদেশ পেট্রোমিয়াম এক্সপ্রোরেশন (বাপেক্স)। তিন মাস কূপ খনন শেষে শনিবার (৩১শে মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।

 

বাপেক্সের প্রতিনিধিরা জানায়, জামালপুর-১ গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ শেষে প্রাথমিক পরীক্ষায় গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। চলতি বছরের ২৪শে জানুয়ারি এই কূপ খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। ২ হাজার ৬০০ মিটার গভীরতার ৩টি স্তরে ডিএসটির (ড্রিল স্টেম স্টেট) মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ১০ই মে। 

 

শনিবার ৩১শে রাতে অগ্নি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স। কূপটিতে ৪০০ বিসিএফ গ্যাস রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ৭২ ঘণ্টার পরীক্ষা শেষ না করে কি পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে এবং বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উত্তোলন সম্ভব কিনা বলা যাচ্ছেনা। এছাড়াও তেল বা কোনো পদার্থ রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা শেষে জানা যাবে। রবিবার পর্যন্ত কূপটির ১ হাজার ৪৪১ মিটার মাটির গভীর থেকে ১১৫২ পিএসআই চাপে গ্যাস বের হচ্ছে। তার উপরে আরও একটি স্তর রয়েছে, সেখানেও গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।


১ থেকে ৪ পর্যন্ত জামালপুর-১ গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের খনন কর্মকর্তা জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জানান, চলতি বছরের ২৪শে জানুয়ারি গ্যাস অনুসন্ধানের শুরু করা হয় এবং ২৫শে এপ্রিল কূপের খনন কাজ শেষ হয়েছে।

 

এই কূপে যে পরিমাণ গ্যাসের প্রত্যাশা, সেটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষা শেষেই বলা যাবে এখানে কি পরিমাণ গ্যাস রয়েছে এবং সরবরাহ করা যাবে কিনা? এই অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ১৬০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়েছে। জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পে কাঙ্খিত গ্যাস পাওয়া গেলে প্রতিদিন ১০ এমএমসিএফ গ্যাস ২৫ থেকে ৩০ বছর উত্তোলন করা সম্ভব হবে।

 

ডিবিসি/এএনটি

আরও পড়ুন