জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশ ছাড়া সরাসরি যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম গেজেটভুক্ত হয়েছে তাদের অবশ্যই যাচাই বাছাই করা হবে। তবে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৩৩টি প্রমাণের যেকোন একটিতে নাম থাকার পরও যাদের নাম বাদ পড়েছে তারা যাচাই বাছাইয়ের আওতা বহির্ভূত থাকবেন।
ডিবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকায় এসে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হঠাৎ করে যাচাইবাছাইয়ের তালিকায় নাম আসা এবং ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের স্বজনেরা ভীড় করছেন জামুকায়।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনুমোদন ছাড়া যেসব বেসামরিক বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, কাউন্সিলের ৭১তম সভায় তা যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়। সারাদেশে এই সংখ্যা ৪০ হাজারের মত।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, "উপজেলায় যাচাই বাছাই হবে। এরপর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন হবে। তারপর গেজেট হবে। কিন্তু সে প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে গেজেট হয়েছে। তাই উপজেলা পর্যায়ে আবার সেই যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। সেখানে যারা মুক্তিযোদ্ধা বলে বিবেচিত হবেন, তারা সঠিক থাকবেন। আর উপজেলা যদি বলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন, তাহলে তার আপিল করার সুযোগ থাকবে।"
তবে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণের যেকোন একটিতে অন্তর্ভুক্ত থাকলে, তিনি যাচাই-বাছাই এর আওতাবর্হিভূত থাকবেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, "আগামী মাসের ৩ তারিখে কারা যাচাই বাছাইয়ের আওতায় আসবে সেটা আমরা প্রকাশ করবো। এখন যেটা আছে সেখানে কিছু ভুলত্রুটি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করা হচ্ছে। এর পর আমরা চেষ্টা করবো, একদম নির্ভুল তালিকা প্রকাশ করার জন্য।"
গত ১১ বছরে মোট সাতবার তালিকা হালনাগাদের পর বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার। জামুকার সুপারিশ করা ২ হাজার ২১২ জনের নামে গেজেট প্রকাশিত হলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ২ লাখ ৩৫ হাজার ২১২ জনে। তবে ৯ জানুয়ারীর যাচাই বাছাইয়ে কতজন বাদ পড়ে সেটিই এখন দেখার বিষয়।