প্রায় দুই দশক আগে ২০০৫ সালে নিজেদের স্থলভিত্তিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করার পর, ডেনমার্ক আন্তর্জাতিক অভিযানে মনোযোগ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশটি সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে অরক্ষিত হয়ে পড়েছিল। এই দীর্ঘদিনের শূন্যতা পূরণে ডেনমার্ক সরকার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে।
তারা জার্মানি, ফ্রান্স এবং নরওয়ের কাছ থেকে তিন ধরনের অত্যাধুনিক স্থলভিত্তিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তারা জার্মানি, ফ্রান্স এবং নরওয়ের কাছ থেকে তিন ধরনের অত্যাধুনিক স্থলভিত্তিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ডেনমার্কের প্রতিরক্ষানীতিতে একটি বড় পরিবর্তন।
এই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডেনিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা জার্মানির ডিয়েল ডিফেন্স থেকে আইরিস-টি সারফেস-লঞ্চড মিডিয়াম-রেঞ্জ সিস্টেম এবং ফরাসি প্রস্তুতকারক এমবিডিএ থেকে ভিএল মিকা সিস্টেম কেনার ঘোষণা দিয়েছে। এই চুক্তিগুলো ডেনমার্ককে তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করবে।
দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পাশাপাশি, ডেনমার্ক একটি অস্থায়ী ব্যবস্থার দিকেও ঝুঁকছে। তারা নরওয়েজিয়ান কোম্পানি কংসবার্গ থেকে একটি নাসামস সিস্টেম ভাড়া নেবে। এই নাসামস সিস্টেমটি একটি "অস্থায়ী সক্ষমতা" হিসেবে কাজ করবে, যতক্ষণ না ডেনমার্ক এই বছরের শেষের দিকে একটি স্থায়ী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নির্বাচন করে।
নরওয়ের প্রতিরক্ষা ম্যাটেরিয়েল এজেন্সির ডেপুটি ডিরেক্টর মেজর জেনারেল অয়ভিন্ড জোহান কভালভিক বলেন, জাতি ও নরওয়েজিয়ান শিল্পের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করে, আমরা এখন নিশ্চিত করছি যে ডেনমার্কের কাছে একটি প্রমাণিত নাসামস সক্ষমতা থাকবে, যখন তারা একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করবে – এটি শক্তিশালী নর্ডিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার আরেকটি উদাহরণ।
যদিও ভাড়ার মূল্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে জানানো হয়েছে যে এটি নরওয়ের সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ, প্রশিক্ষণ এবং সহায়তার "প্রকৃত খরচের" ওপড় ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়েছে। ডেনিশ গোলন্দাজদের নরওয়েতে নরওয়েজিয়ান বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষকদের দ্বারা অস্ত্রটি পরিচালনা করার প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, এরপর নাসামস এই বছরের শেষের দিকে সরবরাহ করা হবে।
ডেনমার্কের এই ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্তটি বিরল, তবে এটিই প্রথম নয়। উদাহরণস্বরূপ, ২০২২ সালে পোল্যান্ড জেনারেল অ্যাটমিকস -এর সাথে একটি অনির্দিষ্ট সংখ্যক MQ-9A ড্রোন ভাড়ার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, আধুনিক সামরিক সরঞ্জামের দ্রুত প্রয়োজন মেটাতে এবং দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের আগে সক্ষমতা যাচাই করার জন্য ভাড়া নেয়া একটি কার্যকর কৌশল হতে পারে। ডেনমার্কের এই পদক্ষেপ তাদের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির প্রতি গুরুত্ব এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনার পরিচয় বহন করে। তথ্য: ডিফেন্স নিউজ
ডিবিসি/ এএমআর