বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই)। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিজিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ওয়েবার পাওয়ার সলিউশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক খান।
শনিবার (১৪ই জুন) ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সংবর্ধনা দেওয়া হয় জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারকে। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে ফারুক খান বলেন, আচিম ট্রস্টার বাংলাদেশে তার কর্মজীবনে সুনাম ও মর্যাদার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ও জার্মানির মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
ঢাকায় থাকাকালীন দুই দেশের মধ্যে সংলাপ, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। তার কার্যকালে উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে জার্মান উন্নয়ন সহযোগিতা বৃদ্ধি, জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচার এবং মানুষে মানুষে বিনিময় বৃদ্ধি।
অনুষ্ঠানে বিজিসিসিআই সভাপতি এম. মাকসুদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং ব্যস্ত সময়সূচী সত্ত্বেও উপস্থিত থাকার জন্য সকল অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনার আন্তরিক প্রতিশ্রুতি, কূটনৈতিক বিচক্ষণতা এবং ব্যক্তিগত উষ্ণতা আপনাকে আপনার সাথে কাজ করা সকলের শ্রদ্ধা ও প্রশংসা এনে দিয়েছে। আপনি কেবল আপনার দেশের একজন দক্ষ প্রতিনিধিই নন, বরং বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধুও।
তিনি বলেন, আমি আশা করি আপনি যখন চলে যাবেন, তখন আপনি আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের জনগণ এবং বাংলাদেশ ও জার্মানিকে একত্রে আবদ্ধকারী অভিন্ন মূল্যবোধের স্মৃতি আপনার সাথে বহন করবেন। আমরা নিশ্চিত যে আপনার পরবর্তী দায়িত্ব যেখানেই থাকুক না কেন, আপনি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বোঝাপড়ার জন্য একজন অবিচল সমর্থক হিসেবে কাজ করে যাবেন।
এ সময় বিজিসিসিআই নির্বাহী বোর্ড এবং বিজিসিসিআই সদস্যদের উষ্ণ আতিথেয়তা, গতিশীল অংশীদারিত্ব এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অংশীদারিত্বের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আচিম ট্রস্টার।
ট্রস্টার বলেন, আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং মানবাধিকার বিষয়ে আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা পর্যন্ত, আমাদের দেশগুলি একসাথে অনেক কিছু অর্জন করেছে। বাংলাদেশের জনগণ, সংস্কৃতি এবং সম্ভাবনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে আমি বিদায় নিচ্ছি। অনুষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্য, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, যারা রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টারকে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং বিদায় জানাতে সমবেত হয়েছিলেন।
ডিবিসি/কেএলডি