ভোলার ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা টক দই এবার জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি সনদ পেল। এতে খুশি মহিষ খামারি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে খামারিরা মনে করেন, শুধু জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দিলেই হবে না, পাশাপাশি মহিষ সুরক্ষা ও খাবারের অভাব মেটাতে সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজন।
ভোলাসহ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও অতিথি আপ্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ মহিষের দুধের টক দই। যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। সম্প্রতি ৩০ এপ্রিল জিও-গ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি স্বরূপ সনদ পেয়েছে মহিষের টক দই।
এর আগে গত বছর ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই’কে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। এতে খুশি মহিষ পালনকারী ও দই ব্যবসায়ীরা। তবে শুধু স্বীকৃতি পেলেই হবে না, পাশাপাশি মহিষের সুরক্ষা ও খাবারের ঘাস উৎপাদন বৃদ্ধি করা না গেলে দুধ উৎপাদন হ্রাস পাবে। বিভিন্ন সাইজের দইয়ের হাঁড়ি ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ ও ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। মহিষের টক দই ভোলার অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। টক দই স্থানীয়দের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ধারাকে বেগবান করবে, এমনটাই প্রত্যাশা ভোলাবাসীর।
ডিবিসি/ রাসেল