গহীন জঙ্গলের মাঝ দিয়ে খাবার বেচতে বাজারের উদ্দেশে রওনা হন ফরিদা। তবে সারাদিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের বাকি সদস্যরা। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে চার সন্তানের মা ফরিদার খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বনের মাঝে ২০ ফুট লম্বা একটি বিশাল অজগর সাপ দেখতে পান ফরিদার স্বামী। তবে এর পেট অতিরিক্ত ফোলা হওয়ায় তার সন্দেহ হয় এই সাপটি ফরিদাকে গিলে খেয়ে থাকতে পারে। পরে সাপের পেট কেটে ওই নারীকে বের করেন গ্রামবাসী। তবে সাপটি গিলে খাওয়ার ফলে ফরিদার মৃত্যু হয়। ডেইলি মেইল ও মেট্রোর তথ্য।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ইন্দোনেশিয়ার কালেম্পাংয়ে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ওই দিন ফরিদা বাজারের উদ্দেশে বের হন। তবে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানান তার স্বামী ননি। এরপরই গ্রামের সবাই ফরিদার খোঁজে নামেন।
পরে শুক্রবার (৭ জুন) ননি বনের মধ্যে একটি গাছের নিচে ২০ ফুট লম্বা একটি অজগর দেখতে পান। তখন সাপটির পেট অতিরিক্ত ফোলা ছিল। ফলে তার মনে সন্দেহ হয় যে এই সাপটি ফরিদাকে জীবন্ত গিলে খেয়ে থাকতে পারে। পরে গ্রামবাসী চাপাতি দিয়ে সাপের পেট কেটে ওই নারীকে বের করেন।
ননি বলেন, আমার আজীবনের দুঃখ যে আমি ওকে একা বাইরে যেতে দিয়েছি। আমি যদি সেদিন ওর সঙ্গে থাকতাম তাহলে সাপটা ওকে স্পর্শ করার সাহস পেত না।
কালেম্পাং গ্রামপ্রধান সুয়ার্দি রোসি বলেছেন, ‘ওই দিন ফরিদা বাড়ি ফেরেননি। তাই তার স্বামী তাকে জঙ্গলে খোঁজ করছিল। পরে তিনি একটি বড় পেটের সাপ খুঁজে পান। সঙ্গে সঙ্গে তার মনে সন্দেহ হয় যে এই অজগরটি তার স্ত্রীকে খেয়ে ফেলেছে। এরপর আরও কয়েকটি গ্রামের মানুষ তাকে অজগরটি ধরতে সাহায্য করে। সাপের পেটে তার স্ত্রীর লাশ পাওয়া গেছে। পরে লাশটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কবর দেয়া হয়।’
ডিবিসি/ এসএইচ