ধর্ম, ইসলাম

জুমার দিনে দোয়া কবুলের সময়

ইসলাম ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২৭শে জানুয়ারী ২০২৩ ০৪:০৯:১৭ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ন মর্যাদার দিন জুমার দিন। এ দিনের সাধারণ আমলগুলো আল্লাহ তাআলার কাছে অসাধারণ। প্রত্যেক মুসলিমের কাছে এদিন বিশেষ গুরুত্বের দাবিদার। বিশেষ করে এ দিনের দোয়া কবুল হয়।

জুমার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার বিশেষ সময় কোনটি সে সম্পর্কে ভিন্নমত থাকলেও দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে সকল ইমামগণের মত অভিন্ন। জুমার নামাজে সুরা ফাতিহার পর আমিন বলার সময়। আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ে দোয়া কবুল হয়।

জুমআর দিন আসরের পরে দিনের শেষভাগে দোয়া কবুলের আশা করা যায়। এ সময় বেশি বেশি দোয়া ও জিকির করা মুস্তাহাব। এ সময় দোয়া কবুল হওয়ার বড় উপযুক্ত সময়। এ মুহূর্তটি খুবই অল্প মাত্র।

হাদিসে এসেছে; হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যে সময় কোনো মুসলিম বান্দা দাঁড়িয়ে নামাজরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাকে তাই দিবেন। তিনি সে সময়ের সল্পতার প্রতি হাত দ্বারা ইঙ্গিত করেন।’ (বুখারি ও মুসলিম)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ইমামের মিম্বরে বসার সময় থেকে নামাজ শেষ করা পর্যন্ত সময়টিই সেই বিশেষ মুহূর্ত। (মুসলিম, ইবনে খুজাইমা, বয়হাকি)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, শুক্রবারে আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দোয়া কবুল হয়। বিখ্যাত সিরাতগ্রন্থ যাদুল মাআ’দ-এ এসেছে, জুমার দিন আসরের নামাজ আদায়ের পর দোয়া কবুল হয়। (২/৩৯৪)

মোটকথা, জুমার দিনে বান্দা দোয়া কবুলের একটি বিশেষ মুহূর্ত রয়েছে, যখন আল্লাহ বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন। এসময় সম্পর্কে আরো কিছু অভিমত তুলে ধরা হলো:

জুমার নামাজে সুরা ফাতিহার পর আমিন বলার সময়। আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ে। মুয়াজ্জিন আজান দেয়ার সময়। জুমার দিন সূর্য ঢলে পড়ার সময়।

ইমাম খুতবা দেয়ার জন্য মিম্বরে দাঁড়ানোর সময়। উভয় খুতবার মধ্যবর্তী সময়। জুমার দিন ফজরের আজানের সময়। প্রত্যেক জুমায় আলাদা আলাদা সময়ে।

গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য কথা হলো, দোয়া কবুলের সময়টি পুরোদিনের ভেতর লুকিয়ে আছে। পুরোপুরি নির্ধারিত না করার উদ্দেশ্য হলো, বান্দা যেন জুমার দিন সর্বদা ইবাদত বন্দেগি ও দোয়ায় মশগুল থাকে।

জুমার দিনে মর্যাদা বৃদ্ধি ও গুনাহ মাফ হওয়ার ঘোষণা রয়েছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও এক জুমা থেকে অন্য জুমা মাঝের সব গুনাহকে মাফ করে দেয়; যতক্ষণ পর্যন্ত সে কবিরা গুনাহে লিপ্ত না হয়।’ (মুসলিম)

তিনি আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই জুমার দিন এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, সে সময়টিতে একজন মুসলমান যে কল্যাণের দোয়া করবে, অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দান করবেন।’ (মুসলিম)

আর এটি আসরের একেবারে শেষ সময়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা আসরের পরে একবারে শেষ সময়ে দোয়া করো।’ (আবু দাউদ)

আরও পড়ুন