বাংলাদেশ, রাজধানী

জুলাই আন্দোলনে বড় ভূমিকা ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের

ডেস্ক ‍নিউজ

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ৬ই জুলাই ২০২৫ ১১:১৪:৩২ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

জুলাই অভ্যুত্থানে বড় ভূমিকা ছিলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে চলার সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিহতও হন।

কিন্তু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র গঠনে কোনভাবেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি তাদের।  কেউ কেউ বলছেন, অভ্যুত্থানের প্রায় এক বছর পার হলেও এখনও বাস্তবায়িত হয়নি জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা।  
 

২০২৪ সালের ১৬ই জুলাই, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আঁচ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্নস্থানে সরব হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা। চাপে পড়ে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অনেকে উপায় না পেয়ে হল ছেড়ে ঘরে ফিরে যান।  .

 

এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা অনেক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর এতে আন্দোলনে ছেদ পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়।

 

ঠিক সে সময় দৃশ্যপটে হাজির হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মিইয়ে পড়ার শঙ্কায় থাকা আন্দোলনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে তাদের দৃঢ়তা।

 

সেসময় আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা শিক্ষার্থীরা বলছেন, যখন সারা দেশে পুলিশে হামলা জোরদার হতে থাকে, তখনই রাজপথে সক্রিয় হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  

 

জুলাইয়ের আন্দোলনকারীরা জানান, ১৮ই জুলাই, ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, আইইউবিসহ বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হন রামপুরায়। গড়ে তোলেন তুমুল প্রতিরোধ।  

 

পরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গঠন করেন সেন্ট্রাল প্রাইভেট অ্যালায়েন্স কমিটি। এতে যুক্ত হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর সমন্বয়করা। এতে আরও তীব্র হয় আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি। তবে, গণঅভ্যুত্থানের পর যে আকাঙ্ক্ষা ছিলো, অনেক ক্ষেত্রেই তা লক্ষ্যে না পৌঁছানোয় হতাশাও রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে।    

 

ডিবিসি/ এইচএপি

আরও পড়ুন