জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর অন্যতম প্রধান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল মহাখালী এলাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এমনকি গুলির মুখেও অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে তোলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। সড়কপথ অবরোধের পাশাপাশি মহাখালী রেলগেটে অবস্থান নিয়ে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় আন্দোলনকারীরা, যা জুলাই অভ্যুত্থানকে নতুন গতি দেয়।
জুলাই আন্দোলনে ঢাকার যে কয়েকটি স্থানে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ অপ্রতিরোধ্য ছিল, তার মধ্যে মহাখালী অন্যতম। এই এলাকার আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল মহাখালী মোড় এবং রেলপথ। শুধু মহাখালীই নয়, সাতরাস্তা, নাবিস্কো, মহাখালী বাস টার্মিনাল, আমতলী, বনানী চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে কাকলী পর্যন্ত মূল সড়কে তুমুল লড়াই চলে।
এই ব্যাপক আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল সরকারি তিতুমীর কলেজ। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিএএফ শাহীন কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সম্মিলিত প্রতিরোধে রাজপথ কার্যত দখলে ছিল।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নানা হুমকি ও হামলার শিকার হয়েও তারা রাজপথ ছাড়েননি। ৫ই আগস্ট চূড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে মহাখালী ও এর আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিল।
ডিবিসি/আরএসএল