জুলাই গণহত্যার মামলাগুলোতে শত শত আসামির নাম থাকায় বিচার বা তদন্ত নিয়ে শঙ্কা ছিলো আগেই। এবার সেই কথাটিই জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। জানালেন, মামলা বাণিজ্য ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। মামলা বাণিজ্য ঠেকাতে অনলাইন পদ্ধতি চালুর কথাও জানান উপদেষ্টা।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা ঘটনায় দেশজুড়ে মামলা হওয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয় এসব মামলার ভবিষ্যত নিয়ে। বিশেষত এক একটি মামলায় শত শত আসামি হওয়ায় সমালোচনা ও শঙ্কা দেখা দেয়।
৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই মামলাগুলো হওয়া শুরু হয়। কোথাও ভুক্তভোগী আবার কোথাও পুলিশ এসব মামলার বাদী হয়েছে। এরপর থেকেই অভিযোগ আসতে শুরু করে কোনরকম সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও পূর্ব শত্রুতা বা চাঁদাবাজির জন্যও অনেককে মামলায় জড়ানো হয়েছে।
এমনকি জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়েও হয়েছে মামলা। তদন্ত করতে গিয়ে এমন প্রমাণও পাওয়া যায়। আর তখন থেকেই এসব মামলায় গণ আসামির বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা তৈরি হলে সরকার বলেছিলো তদন্ত করে নির্দোষদের বাদ দেয়া হবে। আশঙ্কা করা হয় শত শত আসামির কারণে বিচারও ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারে।
অবশেষে সেই আশঙ্কার কথাই নতুন করে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। মঙ্গলবার (১০ই জুন) সকালে গাজীপুরে গাছা থানা পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা জানান, আসামির সংখ্যা বেশি থাকায় তদন্তে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশত্যাগে যে সকল পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছিল তদন্ত করে তাদের পুনর্বহালের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
মঙ্গলবার (১০ই জুন) দুপুরে গাজীপুরের কাশীমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শণে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শিগগিরই কারাগারে তৈরি করা হবে সংশোধনাগার। থাকবে আয়ের সুযোগ।
ডিবিসি/এনএসএফ