টাঙ্গাইলের পাহাড়ি অঞ্চলে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে জোঁকের উপদ্রব। এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় জোঁক এখন মানুষ ও গবাদিপশুর জন্য আতঙ্কের নাম। জোঁকে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ঘাস খেতে গিয়ে গবাদিপশু জোঁকের কবলে পড়ে। একটি গবাদিপশুর নাকে জোঁক ঝেঁকে বসলে সেটিকে বিপদ থেকে রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের সাগরদিঘি গ্রামের এক কৃষক। টাঙ্গাইলের সখিপুরের কুতবপুর থেকে ছড়িয়ে পড়া এই জোঁক এখন মধুপুর, মির্জাপুরের পাহাড়ি এলাকার আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এর ফলে কৃষিকাজ ও গবাদিপশু চারণ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানান, জোঁকের আকার ছোট হওয়ায় মানুষ ও গবাদি পশুর নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে প্রচুর রক্ত শুষে নেয় এবং ক্ষত তৈরি করে। কৃষি ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশের আর্দ্রতা বৃদ্ধিতে স্যাঁতসেঁতেসহ নানা কারণে জোঁকের উপদ্রব বেড়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, টাঙ্গাইলের উপপরিচালক আশেক পারভেজ এবং জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন এই বিষয়ে তাদের মতামত জানান। জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন এফ এম মাহবুবুল আলম জোঁকে আক্রান্ত রোগীর অবস্থা বুঝে জরুরি চিকিৎসার পাশাপাশি এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কথা জানান। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মময় জীবন সচল রাখতে ও অন্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার আগেই কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ চায় এলাকাবাসী।
ডিবিসি/পিআরএএন