সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক হারে জোয়ারের পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে দেশের উপকূল ও দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এবং ডুবে গেছে ফসলের খেত ও মাছের ঘের।
সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ভোলার, যেখানে মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার সদরের রাজাপুর, পূর্ব ইলিশা, কাচিয়া, শিবপুরসহ মনপুরা, ঢালচর, কুকরিমুকরি, চরপাতিলা ও তজুমদ্দিনের কলাতলীর চরের হাজারো মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। অতি জোয়ারে ইলিশা, রামনেওয়াজ, হাকিমুদ্দিন এবং বেতুয়া লঞ্চঘাট প্লাবিত হওয়ায় ভোলার অভ্যন্তরীণ ১০টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫শে জুলাই) বিকেলে বরিশাল নগরীর সদর রোড, ভাটিখানা, পলাশপুর, সাগরদি, ধান গবেষণা ও নবগ্রাম রোডসহ অনেক এলাকা কীর্তনখোলার জোয়ারে তলিয়ে যায়। বহু বসতবাড়িতে প্রায় হাঁটুসমান পানি উঠেছে, প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন সড়ক।
ঝালকাঠিতে সুগন্ধা, বিশখালী ও হলতা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেশি পানি বেড়েছে। শহরের নতুনচর, কলাবাগান, কাঠপট্টিসহ বেশ কিছু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকে গেছে। এছাড়া, জোয়ারের পানিতে সাতক্ষীরা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে এবং শহরের ঘরবাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে।
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যার ফলে জেলার হাইমচর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলের খেত ও অসংখ্য মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারণে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং উপকূলের অনেক এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
ডিবিসি/কেএলডি