রপ্তানিতে তৈরি পোশাকখাতের অবদান প্রায় ৮৪ শতাংশ। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম উৎস হওয়ার পরও দিনের পর দিন অনেকটাই উপেক্ষিত এ খাত। প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এ খাত এখন ভুগছে জ্বালানি সংকটে আর উদ্যোক্তারা আছেন নিরাপত্তাহীনতায়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নানা সংকট থাকায় পোশাকখাতের সাফল্যও রয়ে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৩ হাজার ২৬৪ কোটি ডলার বা প্রায় ৮১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে।
যদিও উদ্যোক্তারা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই পোশাকখাতে রয়েছে তীব্র জ্বালানি সংকট। শুধু তাই নয়, জটিল করকাঠামো, বন্দরের ধীর গতি আর শ্রমিক অসন্তোষসহ নানা সংকটে মোকাবিলা করেই এখনও দেশের শীর্ষ রপ্তানি আয়ের খাত তৈরি পোশাক। সংকটে থাকা এ খাতই ভাগ্য বদলে দিয়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের। এ খাতের দক্ষ ও অদক্ষ সবার জীবনেই লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। শ্রম নির্ভর পোশাকখাতে কাজের সুযোগ আছে সব বয়সী নারী পুরুষের। শিল্প এলাকাগুলোতে পোশাক কারখানা ঘিরে গড়ে উঠেছে নানা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড।
উদ্যোক্তাদের দাবি, পোশাকখাত নারী ক্ষমতায়ণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। সেই সঙ্গে অন্য যেকোনো শ্রমঘন শিল্পের চেয়ে পোশাকখাতে রয়েছে পরিকল্পিত বেতন কাঠামো। বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে সমাজ পরিবর্তনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখলেও শিল্প মালিকদের দাবি এ খাত বরাবরই সরকারের কাছে উপেক্ষিত।
বিষয়টি নিয়ে উদ্যোক্তারা আরও বলেন, পোশাকশিল্পে বিশ্বের সেরা ১০০টি কারখানার মধ্যে ৫২টি আছে বাংলাদেশে। এ শিল্পের সংকট নিরোসনে সরকার আরও আন্তরিক হলে এখাতে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। যার মাধ্যমে বদলাতে পারে আরও লাখো মানুষের জীবনের গল্প।
ডিবিসি/ রাসেল