অসময়ের বৃষ্টিতে নাজেহাল ভারতের মহারাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২০শে মে) থেকে মুম্বাই ও পুণেসহ মহারাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশে বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টি এবং ঝড় শুরু হয়েছে। তাতে গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ থেকে সাময়িক মুক্তি মিলেছে। কিন্তু পানি জমে গিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচলের একাধিক রাস্তা। যানজট আর জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে পড়ছে মুস্বাইবাসী।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বুধবার থেকে রাজ্যের কিছু অংশে আগামী চার দিন একইরকম আবহাওয়া থাকবে। জারি হয়েছে হলুদ এবং কমলা সতর্কতা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভারী বৃষ্টির জেরে মুম্বাইয়ের পোওয়াইয়ের মতো জনবহুল এলাকায় যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। জলবায়ু কমপ্লেক্সের কাছে ঝড়ে গাছ উপড়ে গিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। প্রবল বৃষ্টির জেরে ডুবে গিয়েছে অন্ধেরি সাবওয়ে। শেষমেশ ড্রেনেজ মেশিনের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশণের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মুম্বাই পৌরসভার একটি দল। পুণেতেও দেখা গিয়েছে একই রকম দৃশ্য। সেখানে পানি জমে গিয়েছে বিমানবন্দরেও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অপরিষ্কার নর্দমা থেকে পানি উপচে রাস্তা ভেসে গিয়েছে। থানে জেলার মিরা-ভায়ন্দর, রত্নগিরি জেলার ভেরভালি এবং ভিলাভাড়ে স্টেশনের মাঝে প্রবল বজ্রপাত ও ভূমিধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে সন্ধ্যায় কোঙ্কণ রেলওয়ের পরিষেবা ব্যাহত হয়। ট্রেন চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় বেশ কয়েকটি রুটে।
কোঙ্কণ রেলওয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উপকূলীয় কোঙ্কণ এবং গোয়া অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত চলাকালীন ধস নেমে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রেললাইনের উপর একটি ভারী পাথর এসে পড়ে। যার ফলে মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং কর্নাটকের সংযোগকারী প্রায় ৭৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে রেল চলাচল ব্যাহত হয়। তিনি আরও জানান, ভূমিধসের কারণে মুম্বাই-গোয়া রুটে ট্রেন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। রাত ৮টার দিকে রেললাইন থেকে মাটি ও পাথর সরানোর পর পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
মুম্বাইয়ের আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তর জানান, কর্নাটক উপকূলের অদূরে পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় দানা বেঁধেছে। যে কারণে বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টি চলবে। বেশির ভাগ এলাকাতেই ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বুধবার পুণে, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ, অহিল্যা নগর, কোলাপুর, বীড, শোলাপুর, ধারাশিব এবং ছত্রপতি সম্ভাজি নগরে অতিভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে মুম্বাই, পালঘর, ঠাণে, রায়গড়, ধুলে, নন্দুরবার, জলগাঁও, নাসিক, সাতারা, সাংলি, জালনা, অমরাবতী এবং ভান্ডারায়।
ডিবিসি/এএনটি