ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় এক বাড়িতে শিশুসহ একই পরিবারের ছয় সদস্যকে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ই জুন) রাতে উপজেলার প্রতাপ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা মেজবা উদ্দিন সৈকতের পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। পরদিন সকালে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের ঘুম না ভাঙায় সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে মেজবা উদ্দিনের ঘুম ভাঙলে তিনি পরিবারের বাকি সদস্যদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন এবং সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
ভুক্তভোগী মেজবা উদ্দিন সৈকত জানান, রাতে খাবার খাওয়ার পর সবাই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। সকালে তার সন্তানের জন্য ঘুম ভাঙলে দেখেন বাকিরা কেউ উঠছে না, সবাই অচেতন। ঘরের স্টিলের আলমারি ও ড্রয়ারগুলো ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তখনই বুঝতে পারেন যে, খাবারে কিছু মেশানো হয়েছিল। চোরেরা বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, মেজবা উদ্দিন সৈকত, আবদুল আজিজ হাওলাদার, জানমুন নাহার নুপুর, পারভীন আক্তার, মুনিয়া ও মাছুরা। এদের মধ্যে আবদুল আজিজ হাওলাদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সুলতানা সনিয়া বলেন, "হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছয়জনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ জাতীয় কোনো দ্রব্য মেশানো হয়েছে। এ ধরনের রোগীদের সম্পূর্ণ সুস্থ হতে তিন থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।"
ডিবিসি/কেএলডি