ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক যৌথ অভিযানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির লক্ষ্যে মজুদ করা বিপুল পরিমাণ সার উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, উপজেলা কৃষি বিভাগ ও থানা পুলিশের একটি দল ।
বৃহস্পতিবার (৪ঠা ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শৈলকুপা পৌর শহরের পাইলট স্কুল মার্কেট ও পাইলট হাইস্কুল রোড এলাকায় দুটি পৃথক গোপন গুদামে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উপজেলা কৃষি বিভাগ ও থানা পুলিশের একটি দল সহায়তা প্রদান করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযানের শুরুতে শৈলকুপা পাইলট হাইস্কুল রোড এলাকার 'মেসার্স জীম ট্রেডার্স' এ অভিযান চালায় যৌথ টিম। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির গুদাম থেকে ১৬৫ বস্তা ডিএপি সার উদ্ধার করা হয় এবং অবৈধ মজুদের অপরাধে মালিক সিরাজুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তীতে, শৈলকুপার বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি নোমান পারভেজের মালিকানাধীন পাইলট স্কুল মার্কেটের একটি তালাবদ্ধ গোপন গুদামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আগেই গুদাম ও বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ করে সটকে পড়েন নোমান পারভেজ। ওই তালাবদ্ধ গুদাম থেকে ১১০ বস্তা টিএসপি ও ৭৫ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করা হয়।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে উচ্চমূল্যে বিক্রির উদ্দেশ্যেই এই সার গোপনে মজুদ করেছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অভিজিত ঘোষ জানান, অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে সার মজুদ করে কৃষকদের ভোগান্তিতে ফেলার চেষ্টা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান। তিনি বলেন, এ ধরণের অপতৎপরতা বন্ধ করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং উদ্ধারকৃত সার ন্যায্যমূল্যে সাধারণ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
ডিবিসি/এএমটি