বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ, আইন ও কানুন

টাঙ্গাইলে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়ায় ২ সন্তানসহ নারীর আত্মহত্যার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ৫ই এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৩৫:১১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হওয়া ও থানায় প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করার পরেও পুলিশ কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় দুই সন্তা‌নসহ আত্মহত্যার হুম‌কি দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক নারী।

শুক্রবার (৪ঠা মার্চ) রাত ১১টার দিকে ওই ভুক্তভোগী নারী সুইসাইড নোট লিখে তার ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করেন। পরে সে‌টি মুহুর্তেই ভাইরাল হয়।

 

ফেসবুক স্ট্যাটাসে ভুক্তভোগী নারী লেখেন- দাম্পত্যের কলহের জেরে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হই। পরে এই বিষয় নিয়ে একটি শালিসি বৈঠক বসে। নির্যাতনের ঘটনা আড়াল করতে আমার স্বামী এক ব্যক্তিকে জড়িয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ করে তবে সে বিষয়ে কোনো প্রকার প্রমাণ দেখতে পারেনি। আয়নাল ভাই বলেন, এই বিষয়ে প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা অভিযোগ করা ঠিক হয়নি। সালিশ শেষ হওয়ার সময় একদল লোক (লিমন, হিমন, আলিফ, দেশ, মিজান) উপস্থিত হয়ে আমাকে হুমকি ও জোর করে এই লোকের নাম ও সম্পর্কের কথা স্বীকার করতে বলে। আমি অস্বীকার করলে এই দিনের জন্য সালিশ বৈঠক সমাপ্তি দিয়ে পুনরায় ডেট দেওয়া হয়। এইদিন বিকালে আমার স্বামীর একটি ভিডিও ভাইরাল হয় এবং থানায় একটি অভিযোগ দেয়। পরবর্তী দিন আমি একটি অভিযোগ দিয়ে আসি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য আমাকে ব্যবহার করছে একদল লোক। এই বিষয় পুলিশ আমাকে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেইনি। আমি মানসিকভাবে এবং লোক লজ্জার জন্য ২ সন্তানসহ মৃত্যু পথ বেঁচে নিয়েছি। এই জন্য দায়ী যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। আমি একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে গেলাম। ৩টা জীবন জন্য পুলিশসহ অন্যরা দায়ী থাকবে।

 

নিরাপত্তা ও পুলিশ দায়ীর বিষয়ে জানতে চাইলে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না, তিনি পুলিশকে দোষারোপ করছে। তার কি নিরাপত্তা দেব আমি। এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নেই, সে আমার কাছে আসে নাই। নিরাপত্তার জন্য কেউ না আসলে তাকে কিভাবে নিরাপত্তা দেব। তার বাসায় গিয়ে তো নিরাপত্তা দিতে পারব না।

 

উল্লেখ্য, দাম্পত্যের কলহের জেরে সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ছাত্রদলের এক নেতাকে জড়িয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সস্পর্কের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বামী এবং এই ঘটনায় সালিশে বৈঠক করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় একটি চক্র। একপর্যায়ে ওই ভুক্তভোগী নারী মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিকার ও বিচার চেয়ে স্বামীসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন।

 

ডিবিসি/ এইচএপি 

আরও পড়ুন