দুই প্রভাবশালী মার্কিন ব্যক্তিত্ব ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের বন্ধুত্বও যেমন আলোচনার জন্ম দিয়েছিল তেমনি তাদের দ্বন্দ্বও এখন টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে উত্তাল মার্কিন রাজনীতি। বিবাদের মধ্যেই ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিলেন কোন সম্পর্ক নেই তাদের। অন্যদিকে মাস্ক ঘোষণা দিলেন আমেরিকান পার্টি নামে নতুন রাজনৈতিক দল গড়ার।
মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধান। গভীর বন্ধুত্বের পরিণতি তুমুল বিরোধে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে গলায় গলায় যে সম্পর্ক ছিল ধনকুবের ইলন মাস্কের তা যেন এখন গলার কাঁটা।
ইলন মাস্কের সাথে সব সম্পর্ক শেষ এবং এই সম্পর্ক জোড়াও লাগাতে চান না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন জোড়ালো সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। শুধু তাই নয়, মাস্ককে কঠিন পরিণতির হুঁশিযারিও দেন ট্রাম্প।
শুধু প্রেসিডেন্ট নন, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও। তিনি বলেন টেসলা ও স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক প্রেসিডেন্টের সাথে বিবাদে জড়িয়ে মারাত্মক ভুল করেছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন প্রণীত আইন নিয়ে মাস্কের সমালোচনাই মূলত দ্বন্দ্বের শুরু। মাস্কের শত শত মিলিয়ন ডলারের সমর্থন না থাকলে তিনি গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যেতেন মাস্কের এমন মন্তব্যেরও বিরোধিতা করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ধারণা মিথ্যা প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য নতুন রাজনৈতিক দল গড়তে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভোট আয়োজন করে মাস্ক লিখেন আমেরিকানদের ঠিকমতো উপস্থাপন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রয়োজন আছে কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে সম্মতি জানান ৮০ শতাংশ মানুষ। এরপরই মাস্ক আরেক পোস্টে লেখেন জনতা রায় দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নতুন পার্টির প্রয়োজন রয়েছে যা ৮০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। এরপর মাস্ক তার সম্ভাব্য রাজনৈতিক দলের নাম জানান 'দ্য আমেরিকা পার্টি'।
ডিবিসি/এনএসএফ