বৃহস্পতিবার (৩১শে জুলাই, ২০২৫) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এই তথ্য জানান। একইসাথে তিনি অন্যান্য দেশের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন। এর আগে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, ১ আগস্টের মধ্যে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হবে, তাদের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করা হবে।

ট্রাম্প তার পোস্টে বলেন, ‘আমরা এইমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছি, যার আওতায় পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে তাদের বিশাল তেল ভান্ডার উন্নয়নে কাজ করবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, 'আমরা বর্তমানে একটি তেল কোম্পানি নির্বাচন করছি যারা এই অংশীদারিত্বে নেতৃত্ব দেবে। কে জানে, হয়তো একদিন তারা ভারতেও তেল রপ্তানি করবে।

এই চুক্তির বিস্তারিত শর্তাবলী তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো যখন ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

হোয়াইট হাউসে বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, তার প্রশাসন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছে। তিনি বলেন, ‘আমি অনেক দেশের নেতার সঙ্গে কথা বলেছি, এবং তারা সবাই যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করতে চায়।’

দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ট্রাম্প জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার আমদানির ওপর বর্তমানে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকলেও তারা তা কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

ট্রাম্প আরও জানান, অন্যান্য দেশও শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব দিচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ‘উপযুক্ত সময়ে এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।’

এর আগে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যেসব দেশ ১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে না, তাদের ওপর বিদ্যমান ১০ শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি হারে শুল্ক আরোপ করা হবে। চীনের জন্য এই সময়সীমা ১২ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। চীনের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে এবং একটি ‘যথাযথ ও ন্যায্য’ চুক্তি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

একই দিনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তিনি ভারতের শুল্ক ব্যবস্থাকে ‘বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ’ এবং দেশটির অ-আর্থিক বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাকে ‘সবচেয়ে কঠিন ও অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেন।

যুক্তরাজ্য, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। তবে অনেক চুক্তির বিস্তারিত এখনো প্রকাশ পায়নি এবং হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, কিছু চুক্তি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।

ডিবিসি/এনএসএফ