ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায়শই তার অদ্ভুত দেহভঙ্গি, বিস্ফোরক মন্তব্য এবং বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও আচরণের জন্য গণমাধ্যমের শিরোনাম হন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময় আলোচনা কিংবা সমালোচনার কেন্দ্রে থাকেন। এবার তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিতে সুপারিশ করেছেন একজন মার্কিন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে তার প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে এই মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
আসলে তিনি একজন জাত ব্যবসায়ী। দুইবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুকুট পরা এই ব্যবসায়ী কখনো খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ হতে চেয়েছেন, আবার কখনো শান্তিতে নোবেল জেতার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তবে একটি বা দুটি নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, তার চার থেকে পাঁচবার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত, কারণ তার নেতৃত্বেই একের পর এক শান্তি চুক্তি সংঘটিত হচ্ছে।
ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন, রুয়ান্ডা-কঙ্গোর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ বিভিন্ন কারণে যখন বিশ্ব উত্তপ্ত, তখনই হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার ট্রাম্পের দাবি বিশ্বে আলোচনার ঝড় তোলে। তবে এক সপ্তাহ না পেরোতেই তার উচ্চাকাঙ্ক্ষার পূরণে অনেকটা এগিয়ে গেলেন ট্রাম্প। ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য ট্রাম্পকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটিকে চিঠি দিয়েছেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা বাডি কার্টার। চিঠিতে তিনি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিধ্বংসী পরমাণু অর্জন থেকে বিরত রাখতে ট্রাম্পের ভূমিকাকে অসাধারণ ও ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংকটে ‘কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দেওয়ার’ স্বীকৃতি হিসেবে ট্রাম্পকে ২০২৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তবে কি ট্রাম্পের মাথায় যুক্ত হচ্ছে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মুকুট? তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির ঘোষণা পর্যন্ত।
ডিবিসি/এএনটি