হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র-ইলেক্ট জোহরান মামদানি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গাজার পরিস্থিতি এবং নিউইয়র্কের অভ্যন্তরীণ আর্থিক সংকট নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জোহরান মামদানি গাজার পরিস্থিতি নিয়ে তার কঠোর অবস্থানের ব্যাখ্যা দেন। একজন সাংবাদিক মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মামদানি তা স্পষ্ট করে বলেন, তিনি ইসরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করেছেন, মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে নয়। তবে তিনি বলেন, মার্কিন সরকার এই গণহত্যার অর্থায়ন করছে।
মামদানি জানান, তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিউইয়র্কের বহু মানুষের উদ্বেগের বিষয়টি ভাগ করে নিয়েছেন। তারা চান তাদের করের অর্থ যেন নিউইয়র্কবাসীদের উপকারে এবং তাদের মৌলিক মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য ব্যয় হয়।
মেয়র-ইলেক্ট জোহরান মামদানি তার শহরে বিদ্যমান মানবিক সংকটের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, বর্তমানে টানা নবম বছরে নিউইয়র্ক শহরে ১ লক্ষেরও বেশি স্কুলগামী শিশু গৃহহীন।
তিনি বলেন, এখানে শুধু মানবাধিকার অনুসরণ করার জন্যই নয়, নিউইয়র্কবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্যও চরম প্রয়োজন রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মামদানি বলেন, তিনি শান্তির জন্য সকল প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, তিনি ট্রাম্পকে জানিয়েছেন যে জনগণ তাদের করের অর্থ দিয়ে অন্তহীন যুদ্ধের অর্থায়ন দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
মামদানি জোর দিয়ে বলেন যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারগুলো অনুসরণ করা উচিত। তিনি উল্লেখ করেন যে আজও সেই মানবাধিকারগুলি লঙ্ঘিত হচ্ছে, এবং এই বিষয়ে কাজ করা অপরিহার্য।
তথ্যসূত্র মিডল ইস্ট আই
ডিবিসি/এমইউএ